আরবদের সমকামীতার নগ্নরুপ। এবার পরিচারককে খুন করল এক সমকামী সৌদি যুবরাজ

যেমনটি আমরা ইতিহাসলদ্ধ জ্ঞান এবং পরকালের ইসলামী প্রলোভন থেকে জানতে পারি--আরবরা প্রাচীনকাল থেকে সমকামী এবং কামুক। এর একটি নিকৃষ্ট প্রমাণ সম্পৃতি ঘটে যাওয়া নিচের এই সংবাদেই পাবেন। নিউজটি বিডিনিউজ ২৪ডটকমের সৌজন্যে প্রাপ্ত।


সৌদি যুবরাজ সৌদ আবদুল আজিজ বিন নাসের আল সৌদ লন্ডনের একটি বিলাসবহুল হোটেলে তার পরিচারককে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এই হত্যার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন প্রচেষ্টার আলামত পাওয়া গেছে বলেও মঙ্গলবার ব্রিটেনের ওল্ড বেইলি আদালতকে জানিয়েছেন সরকারপক্ষের আইনজীবী জনাথন লেইড ল।

তবে সৌদি যুবরাজ এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

গত ১৫ ফেব্র"য়ারি বন্দর আবদুল আজিজ নামের ওই পরিচারকের লাশ লন্ডনের ল্যান্ডমার্ক হোটেলে যুবরাজ সৌদ আবদুল আজিজ বিন নাসের আল সৌদের কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়। তখন তার গালে কামড়ের পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।

৩২ বছর বয়সী ওই পরিচারক মৃত্যুর আগে ৩৪ বছর বয়সী যুবরাজ সৌদ আবদুল আজিজ বিন নাসের আল সৌদের সঙ্গী হিসেবে তিন বছর বিভিন্ন স্থান ঘুরেছেন।

যুবরাজ সৌদ আবদুল আজিজ বিন নাসের আল সৌদের বাবা সৌদি বাদশার ভাইয়ের ছেলে এবং তার মা বাদশার মেয়ে।

লেইড ল আদালতকে বলেন, নিহত পরিচারকের মুখে ও মাথায় প্রচণ্ড জোরে ঘুষি মারা হয়। আঘাতের কারণে তার বাঁ চোখ ফুলে বন্ধ হয়েছিলো। তার ঠোঁট ছিলো ক্ষতবিক্ষত এবং কয়েকটি দাঁতও ভেঙ্গে গিয়েছিলো।

তিনি জানান, পরিচারক তার কানেও আঘাত পান এবং ময়না তদন্তে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণও ধরা পড়ে। ওই পরিচারক এর আগেও এ ধরনের মারপিটের শিকার হন।

লেইড ল বলেন, ক্লোজ সার্কিট টিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, ২২ জানুয়ারি ও ৫ ফেব্র"য়ারি ওই পরিচারককে হোটেলের লিফটে মারধর করছেন সৌদি যুবরাজ।

"বিভিন্ন আলামতে এটাই নিশ্চিত হয় যে, যুবরাজ হয় সমকামী নয়তো তার ভেতরে সমকামী প্রবণতা রয়েছে।"

Posted by
Abraham Lingkon

More

আমি বড় হয়েছি একদল সমকামী এবং সেক্স মেনিয়াক লোকের ভিড়ে।

ঘটনা ১ - আমি তখন খুব ছোট - বয়স ৫/৬ হবে। আমাদের বাড়িতে এক হাফিজ হুজুর লজিং থাকতেন।আমাদের আরবি পড়াতেন। একবার আমাদের অনেক মেহমান আসার কারণে আমাকে হুজুরের সাথে রাতে উনার ঘরে ঘুমাতে হয়েছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার প্যান্ট ভিজা। আমি তা দেখে হুজুরকে জিজ্ঞেস করি - হুজুর এসব কি, আমার প্যান্ট ভিজা কেন? উনি বলেন এসব কিছু না, যাও জলদি গোসল করে আসো। আর কাউকে এসব নিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করোনা।

আমি সেদিন কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করিনি কিন্তু বোঝ হয়ার পর বুঝেছিলাম সেদিন কি হয়েছিল।

ঘটনা ২- আমার বাড়িতে এক কাজের লোক ছিল, আমাদের বাড়িতে কাজ করত। এবং বাড়ির বাহিরে একটা ঘর ছিল সেখানে থাকতো। এক বিকেলে সে আমাকে তার ঘরে ডেকে নেয়। আমাকে নতুন এক টাকার নোট দিয়ে তার ঘরে ঢুকিয়ে দরজা লাগিয়ে যা করার করে। আমি সেদিন কিছু বুঝিনি কিন্তু বোঝ হয়ার পর বুঝেছিলাম সেদিন কি হয়েছিল। তার নাম ছিল করম আলি।

ঘটনা ৩ - স্কুল থেকে আসার পথে এক লোক আমাকে ফুটবল খেলার জন্য আমায় ডাকে। আমি আবার ফুটবল খেলার জন্য পাগল ছিলাম। সে তার ঘরে নিয়ে আমায় নিয়ে আমাকে কাপড় খুলতে বলে। আমি রাজি হয়নি, কান্না শুরু করি। আমার কান্না দেখে সে আমায় ছেড়ে দেয়।


------------------
করম আলি এখন সৌদি থাকে আর হাফিজ হুজুর কই আছে সেটা জানিনা। তবে ইচ্ছে আছে তাদের একদিন খুজে বের করব এবং তাদের মেশিন কেটে গলায় ঝুলিয়ে দিব।

Posted by
Abraham Lingkon

More

ডোলেঞ্চারের পর প্রতারনার নতুন ফাদ

মানুষের দূর্বলতাকে পুঁজি করে এক শ্রেণীর মানুষ বরাবরই সাধারন মানুষদের ধোকা দিয়ে যাচ্ছে। প্রত্যেকটা মানুষই টাকা উপার্জনের উপায় খুজে বেড়ায় আর সেই উপায় যদি নিজের মুখের সামনে চলে আসে তাহলে সেইটা পাওয়ার জন্য চেষ্টার কোন ত্রুটি থাকে না।
Online Earning Pioneer Group (OEPG) নামে একটি প্রতিষ্ঠান একটা নতুন কাজের অফার দেয়। তাহল ফোরাম পোস্টিং এর মাধ্যমে আয় করা। কাজটা হল http://www.forum.mt5.com এ বিভিন্ন থ্রেডের রিপ্লাই করতে হবে। আমি একটু খোজ খরব নিয়ে জানতে পারি এখান থেকে যে আয় হয় সেটা ফরেক্সে ইনভেস্ট করা যায় এবং লাভ হলে ডলার তুলে আনা যায়। তারা বিভিন্ন মানুষ কে দিয়ে ফোরামের কমেন্ট করিয়ে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে ফোরামে ইনভেস্ট করে্ এবং সেই খান থেকে ফোরাম পোস্টার দের টাকা দেয়।
আমি খুলনাতে থাকি। ঢাকাতে আমার এক বড় ভাই তুফায়েল খান প্রথমে ফোরাম পোস্টিং এর কাজ দেয়। প্রতিদিন ২ ঘন্টার মত করলে আমি ৪৫/৫০ কমেন্ট করতে পারতাম। তাতে ভালই টাকা আসত। কিছু দিন পর তিনি একজনের সন্ধান পান যে প্রতি কমেন্টে ৬ টাকা দিবে এবংন ১৫ দিন পর পর পেমেন্ট দিবে কিন্তু তাদের শর্ত হল তাদেরকে ১২০০ টাকা দিতে হবে। যেহেতু ১৫ দিনে মধ্যেই ১২০০ টাকা উঠে যাবে তাই টাকা দিতে কার্পণ্য করলাম না। আমার সাথে আমার ২ বন্ধুও টাকা দিল। প্রথমে ১০০০ টাকা পাঠালাম ২০০ টাকা বাকি ছিল পরে অবশ্য পেমেন্ট থেকে ২০০ টাকা কেটে নিয়েছিল।
এই সামান্য ফোরাম পোস্টিং এর জন্য আমাকে ন্যশনাল আইডি কার্ডের স্কান কপি ব্যাংক স্টেটমেন্টের স্কান কপি দিতে হয়েছিল, আমি বলেছিলাম এই কাজের জন্য এইগুলা লাগবে কেন? ওরা বলল এই গুলা ওদের নিয়ম তাই। এছাড়া একটা জয়েনিং ফর্মে আমার চৌদ্দগুষ্টির ইনফরমেশন নেয়। যেহেতু কাজ করতে চাই সেহেতু আমি তাদের কে এই ডকুমেন্টগুলা দিয়ে দিলাম।
কয়েকদিন ফোরাম পোস্টিং করার পর জানতে পারলাম তাদেরকে মোট ৬০০০ টাকা দিতে হবে। আমি অবাক হলাম কেন ৬০০০ টাকা? ওরা বলল এ্ইটা ওদের নিয়ম। আমি সহ আমার বন্ধুরা বিপাকে পড়ল, এই কাজের জন্য কেন এত টাকা দিব। পরে শুনলাম এই টাকা এক সাথে দিতে হবে না, তারা পেমেন্ট থেকে ৫০% করে কেটে এডজাস্ট করে দিবে। এই কথা শোনার পর আর কাজ করার ইচ্ছা ছিল না, কিন্তু যেহেতু ১০০০ টাকা দিয়েছি সেহেতু রাজি না হয়ে উপায় নেই।
প্রথম পেমেন্টর দেবার সময় দেখি তারা ১০% সার্ভিস চার্জ কাটছে। মরার উপর খাড়ার ঘাঁ। কোন উপায় নেই সহ্য করে যাচ্ছি। রাগ করে ফান কারার মাধ্যমে একটা কমেন্ট দিলাম দেখেন তার জবাব দেখেন
প্রথমে পেমেন্ট পেলাম ব্যাংকের মাধ্যমে। কাজ করছি যতটুকু পারি। সময় মত পেমেন্ট দেয়া নিয়ে ও জটিলতা ছিল।
কিছূ দিন পর একটা পোস্ট দিল এবং আমার জবাব। এভাবে তারা টাকা কাটতেই থাকে।
 এতসব আইন কানুন আর এইটা ঐটা বলে টাকা কেটে রাখার কারনে অবশেষে সিন্ধান্ত নেই আমি এবং আমার এক বন্ধু কাজ করব না।
 
এরপর শেষ মাসের টাকা দেয়া নিয়ে শুরু করল নানা জটিলতা । আজ দেই কাল দেই করে ২ মাস হয়ে গেল কোন টাকা দেয় না। গ্রুপে কোন পোস্ট দিলে কোন জবাব ও পাওয়া যায় না।
টাকা চেয়ে পোস্ট দিছিলাম প্রথম পোস্টটা ডিলিট করে দেয় দেয়। তার পরের পোস্ট আমার। তারিখ গুলা একটা খেয়াল করে দেখেন।
পরে আবার পোস্ট দিয়েছেলাম এবং কিছু কড়া কথা বলেছিলাম । তার জবাবে ওইপি গ্রুপের চেয়ারম্যান ইয়াসিন খানের পোস্ট এবং আমার জবাব।
সর্বশেষ এপ্রিলের ৪ তারিখে আমার পেমেন্ট দেবার তারিখ দেয় কিন্তু তারপরও পেমেন্ট দেয়নি।
আমার সর্বশেষ পোস্ট।
তারপরও কোন জবাব নেই????
আমার কাছে আরো অনেক স্কিন শর্ট আছে যা সব দিলে পোস্ট টা অনেক বড় হয়ে যাবে তাই আর বেশি দিলাম না। তবে যদি প্রমানের জন্য আরো কোন তথ্য লাগে তাহলে আমি দিতে পারব।
এবার অন্যদের ভোগান্তির কিছু স্কিন শর্ট দেখুন।


Fahad Hossain Ramim  এই গ্রুপের একজন পরিচালক। তাকেও ফোন দিয়ে পাওয়া যায় না।

Oepg Grp এই আইডি দিয়ে সবার সাথে যোগাযোগ করা হয় । চেয়্যারম্যান ইয়াসিন হাওয়া হয়ে যাওয়ার খবর দিছিল। পরে অবশ্য ফিরে আসছিল।

এবার আসুন পরিচয় করিয়ে দেয় কারা এই গ্রুপ পরিচালনা করে থাকেন।

Yeasin Khan

Online Earning Pioneer Group এর প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান। প্রোফাইলে ইসলামিক ছবি দেখে ভাল মানুষ মনে হয়েছিল। তাই কোন প্রকার জানশোনা ছাড়াই তাদের সাথে কাজ করতে রাজি হয়েছি।
তার প্রফাইল ভিজিট করে আসতে পারেন। https://www.facebook.com/MD.YEASINKHAN

Al-Amin Ahmed


এই গ্রুপের একাউন্ট ম্যানেজার । সেই সব কিছুর সাথে পূনাঙ্গ ভাবে জড়িত। তার প্রফাইল ভিজিট করে আসতে পারেন। https://www.facebook.com/alamin.ahmed.27

Fahad Hossain Ramim

ইনি এই প্রুপের একজন কিন্তু কি পদে আছেন তা জানি না। তার প্রফাইল ভিজিট করে আসতে পারেন। https://www.facebook.com/framim
মোটামুটি তাদের প্রতারনার চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তারা তাদের নতুন একটা প্র্র্রোযেক্ট শুরু করতে যাচ্ছে। অনেক লোক নিবে , আমি চাইনা আর কেউ আমার মত প্রতারিত হোক। তাই সবাইকে এই সব প্রতারকদের থেকে সাবধান থাকার জন্য অনুরোধ করছি। তাদের বিচার আপনাদের উপরে ছেড়ে দিলাম । এখন আপনার যা ভাল মনে করেন তাই হবে।
সবগুলো লিংক একসাথে দিলাম
https://www.facebook.com/groups/oepgroup/
https://www.facebook.com/MD.YEASINKHAN
https://www.facebook.com/alamin.ahmed.27
https://www.facebook.com/framim
https://www.facebook.com/oepg.grp

Posted by
Abraham Lingkon

More

যে প্রশ্নগুলোর গ্রহনযোগ্য সমাধান না পেয়ে আমি আস্তিক

ধর্মের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে যখন প্রথম ভাবতে শুরু করলাম তখনথেকেই কেবল মনে হতে থাকল আমি একজন পরাধীন ব্যক্তি। আমার স্বাধিনতা বলতে তেমন কিছুই বাকী থাকেনা, ধর্ম অনুসরন করতে গেলে। যেমন পাচবার নামাজ পড়তে হয়, এতে ব্যক্তিগত সময় কমে যায়। বাবা মায়ের কথা অনুযায়ী চলতে হবে। নিজের কষ্ট করা উপার্জনে ও যাকাত দিতে হবে।বেশী অর্থের মালিক হওয়াযাবেনা কারণ পরকারল হিসেব দিতে হবে। যা খেতে ইচ্ছে হয় তাই খাওয়া যাবেনা। দেখতে ভাল লাগলেও সব দেখা নিষেধ। নিজের জীবনকে যেমন খুশি উপভোগ করা তো যবেই না এমনকি আমি চইলেআমার জীবনকে ধ্বংস ও করতে পারবো না। ধর্ম সম্পর্কে যত বেশী জানতে থাকি ততই আমার করনীয় ও বর্জনীয় এই দুটি লিষ্ট বড় হতে থাকে।

আবার নাস্তিকতাসম্পর্কে যখন জানা শুরু করলাম তখন সেখানে বলা হল ধর্মগুলি মানব সৃষ্ঠ। পরকাল বলতে কিছু নেই। মানুষকে নিয়ন্ত্রনের জন্য কোন দেশের আইন ও সমাজের প্রচলিত রীতিই যথেষ্ট। যাই হোক আমার আলোচনায় এমন কিছু বিষয় উঠে আসবে যার উত্তর নাস্তিকতায় পাওয়া যায়না।

১. মুক্তিযুদ্ধ:
একজন মানুষ কেন মুক্তিযুদ্ধ করবে বা দেশের জন্য প্রান দিবে? পরকাল বলে যদি কিছু না থাকে তবে শুধু শুধু নিজের জীবনটা দিব কেন? কেউ কেউ বলতে পারেন স্মরনীয় হওয়ার লোভে বা আগামী প্রজন্মের মংগলের জন্য। তাই বলে নিজের জীবন? আমি বেচে না থাকলে আগামী প্রজন্ম সুখে থাকলেও আমার কিছু যায় আসেনা। তাছাড়া স্মরনীয় হতে পারে কয়জন? ৩০ লাখ শহীদের কত জনের নাম অমরা জানি?

২. আগ্রাসন:
আমি প্বার্শবর্তী দেশের প্রশাসনকে জিম্মি করে তাদের প্রাকৃতিক সম্পদ লুটবনা কেন যদি আমাকে বাধা দেওয়ার কেউ না থাকে? দেশের নদী, খাসজমি, স্কুলের মাঠ দখল করবনা কেন যদি অমি ক্ষমতাধর হই? লাখ লাখ একর কৃষি জমিতে বায়ু ফুয়েলের চাষ করবনা কেন যদি গাড়ি চালানোর জন্য অল্প কিছতেল পাই?

৩. দান ও পরোপকার:
আমার নিজের উপার্জিত অর্থ অন্যকে দান করব কেন? যদি নাম প্রচারই মূখ্য উদ্দেশ্য হয় তবে সাংবাদিক/টিভি কেমেরা না থাকলে দান করবো কেন? পৃথিবীতে কত পারসেনট দান লোক দেখানো?

৪. নৈতিকতা বিরোধী ব্যবসা:
আমি কেন খাদ্য ও ঔষধে ভেজাল মিশাবনা যদি অতিরিক্ত লাভ পাই? যে ব্যবসায় লাভ বেশী আমি কেবল সেইগুলাই করতে চাই যেমন মাদক ও অস্ত্রের ব্যবসা। আইন শৃংখলা বাহিনীর লোকসল্পতা বা অন্য কোন দূর্বলতা থাকলে আমি কেন অবৈধ ব্যবসা করব না?

৫. আবিষ্কার ও সমাজসেবা:
মানুষ কেন সারা জীবন ব্যয় করবে আবিষ্কারের পিছনে? বিজ্ঞানীরা বেচে থাকতে তার আবিষ্করের সুফল কতটা ভোগ করতে পারে?

৬. মহামানব:
একজন মানুষ সারাজীবন কেন ভাল কাজ করবে? গৌতম বুদ্ধ আর হিটলারের জীবন দর্শনে পার্থক্য কি? গৌতম বুদ্ধ তার জীবদ্দশায় কি পেয়েছেন?

৭. ন্যায়বিচার:
ধরা যাক, একজন খুনী এক হাজার জন মানুষকে হত্যা করলো। এই হত্যার ন্যায়বিচার পার্থিব জগতে কীভাবে করা সম্ভব? পার্থিব জগতে সেই খুনীকে বড়জোর একবার মাত্র হত্যা করা সম্ভব। তাহলেই কি ন্যায়বিচার হয়ে যাবে? তাছাড়া মৃত মানুষদের জীবিত করাও তো অসম্ভব! নাস্তিকরা কি এই প্রশ্নের যৌক্তিক ও সন্তোষজনক জবাব দিতে পারবেন? প্রচলিত নিয়মে যেটা করা হয় সেটা হচ্ছে এক ধরণের ক্ষতিপূরণ, ন্যায়বিচার নয়। আর খুনীকে যদি চিহ্নিত করা না যায় সেক্ষেত্রেই বা কী হবে! এরকম আরো অনেক বিষয় আছে যার যৌক্তিক ও সন্তোষজনক ব্যাখ্যা এই জগতে দেয়া অসম্ভব।

৮. শ্রদ্ধা:
আমি কেন বড়দের শ্রদ্ধা করব? কেন বড়দের কথা শুনব? বড়রা ভূল করলে সাথে সাথে লজ্জা দিবনা কেন?

৯. যৌনতা ও বিবাহ:
আমি কেন বিবাহ পূর্ব ও পরে একাধিক যৌন সম্পর্ক রাখবনা? আমি তা করতে চাইলে দেশের আইন আমাকে কতটা বাধা দিতে পারে? নিজের কন্যা, বোন ও মাতাকে বিয়ে করতে সমস্যা কোথায়?

পরিশেষে:
আমার এ লেখা কারো সেকুলার বা অন্য কোন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে থাকলে দু:খিত। যে কোন সমালোচনা সাদরে গৃহিত হবে।

Posted by
Abraham Lingkon

More

জামাত- শিবির কি আস্তিক- নাস্তিক নির্ধারণের মাপকাঠি

আস্তিক বা নাস্তিক এই প্রশ্নটি এখন সকলের ।

আমি ও আপনি আস্তিক কি নাস্তিক তার সার্টিফিকেট নিতে হবে জামাত- শিবিরের কাছ থেকে । জামাত- শিবিরের এই দাবিকে দেশের জনগন ও সরকার কিভাবে নিচ্ছে তা আমি জানি না । তবে এটা বলতে পারি ইসলাম ধর্মে এ দায়িত্ব কাউকেই দেওয়া হয় নাই ।

একত্ববাদে বিশ্বাসী যে , সেই আস্তিক । আল্লাহ্‌ ও তার নবী রাসুলদের প্রতি যার বিশ্বাস সেই আস্তিক । ইসলামের ভাষায় আল্লাহ্‌ ও তার প্রেরিত শেষ নবী হযরত মোহাম্মাদ সঃ এর প্রতি যার বিশ্বাস , আহকাম-আরকান যে মেনে চলে সেই প্রকৃত মুসলমান । যাকে বলা যায় আস্তিক ।

কিন্তূ জামাত- শিবির যে আস্তিক- নাস্তিকের কথা বলছে তা আমি বুঝতে পারছি না । জামাত- শিবির কি আস্তিক- নাস্তিক নির্ধারণের কোন মাপকাঠি নিয়ে বসে আছে ।

আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছে , জামাত- শিবির ৭১ এ যে কার্যকলাপ করেছে সেটা কোন আস্তিকের কাজ । যদি তারা আস্তিক হয় তাহলে এখন কেন তারা গাড়ি পুড়ছে, ভাংচুর করছে সব , আহত করছে পুলিস সহ সাধারন জনগণকে । জান- মালের ক্ষতি করছে এ রাষ্ট্রের ।

ইসলামে বলে , তুমি শ্রদ্ধা কর তোমার রাষ্ট্রের আইনকে , শ্রদ্ধা কর রাষ্ট্র ব্যাবস্থাকে, রক্ষা কর রাষ্ট্রের সকল স্থাপনাকে, শ্রদ্ধা কর তোমার ভাষাকে, শ্রদ্ধা কর তোমার প্রতিবেশী সহ সকল মানুষকে, শ্রদ্ধা কর অন্য ধর্মের অনুসারীদের ।

কিন্তূ জামাত- শিবির যা করছে তার সংগে ইসলাম ধর্মের কোন মিল খুজে পাচ্ছি না । জামাত- শিবির আস্তিক কি নাস্তিক সেই প্রশ্নে যাব না, তবে এটা বলতে পারি জামাত- শিবির ইসলাম মানে না । জামাত- শিবির যে ইসলামের কথা বলে, সে ইসলাম আমাদের নবী হযরত মোহাম্মদ সঃ না ।

Posted by
Abraham Lingkon

More

আস্তিক নাস্তিক (ধর্ম ) ইস্যু নিয়ে রাজনীতি!!

রাজীবের ধর্ম নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নেই। রাজীব মারা যাওয়ার পর থেকেই দেখছি সে নাস্তিক না আস্তিক এই বিতর্ক শুরু হয়েছে। কেউ তাকে আস্তিক বানানোর জন্যে উঠে পরে লেগেছে, আবার এক পক্ষ নাস্তিক দাবী করে শাহবাগের আন্দোলনকে নাস্তিকদের আন্দোলন বলে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। সরকার এ ব্যাপারে রহস্যজনক ভুমিকা পালন করছে, ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের একটা প্রবনতা দেখতে পাচ্ছি। আমি আজকে আবার এ ব্যাপারে কথা বলছি কারন ৯ তারিখের তৃতীয় মাত্রায় দেখলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষক ড: সেলিম মাহমুদ বললেন রাজিবকে নাস্তিক বানানো নাকি জামায়াতের চক্রান্ত এবং নেটে তার যেসব লেখা রয়েছে তা ফেক। আমি যদিও একজন প্রাকটিসিং মুসলিম না কিন্তু ধর্ম নিয়ে নোংরা কটুক্তি পছন্দ করি না এবং যুক্তি দিয়ে প্রতিবাদের চেস্টা করি। এবং যদি কেউ নাস্তিক না হয়ে থাকে বা ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করে না থাকে, তার মৃত্যুর পর এসব রটানো ও গর্হিত কাজ। যদি কেউ সেটা করে থাকে রাষ্ট্র পক্ষের দায়িত্ব ছিল তাকে বের করে আইনের আওতায় আনা, সরকার সেটা না করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে ব্যস্ত।
দেশের স্বনামধন্য ব্যক্তিদের নিয়ে সমালোচনাও করলেও মাটির তল থেকে হলেও ধরে এনে যেখানে ১৪ শিখের ভিতরে ঢুকানো হয় সেখানে এত বড় ঘটানোর পরেও কথিত প্রচারকারীকে বের না করার কি মানে থাকতে পারে তা আমার বোধগম নয়। রাজীব ব্লগার ছিল এটা সর্বজনস্বীকৃত। শাহবাগ থেকে ও তাদের সহযুদ্বা হিসাবে ঘোষনা দেয়া হয়েছে, আমি যতদুর জানি সে থাবা নামে ব্লগিং করত। আমি এই নিকের লেখা পড়েছি "আমার ব্লগ"-এ। বলা হচ্ছে নুরানিচাপা নামে যে লিংক সেটা ভুয়া। মানলাম ভুয়া, আমার ব্লগ-এ যে লেখা সেটাও কি ভুয়া?? নুরানিচাপার লেখা এবং আমার ব্লগ , ফেসবুকের থাবা বাবার লেখা তো একই।
নুরানিচাপা রাজিবের মৃত্যুর পর প্রকাশ হলেও লেখাগুলো রাজিবের - আমার বিশ্বাস। সন্দেহ থাকলে আরিফ জেবতিক, অমি রহমান পিয়াল এদেরকে জিজ্ঞাসা করুন, সত্য বের করুন।
আরেকটা কথা বলতে চাই তা হলো, রাজিবের নাস্তিকতার সাথে শাহবাগের আন্দোলনের কোন সম্পর্ক নেই। আস্তিক, নাস্তিক, মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই মানবতা বিরোধীদের বিচার চাইতে পারে, শাহবাগে শরিক হওয়ার আগে কারো ধর্ম পরিচয় জিজ্ঞাসা করা হয় না। কিন্তু আমি আশ্চর্য হই যখন দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছ থেকে মুর্খের মত কথা শুনি। এখানে ধর্ম নিয়ে জামায়াত যেরকম রজনীতি করছে আওয়ামীলীগ ও ঠিক একই রকম ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে। প্লিজ আপনারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি থামান, দেশের মানুষকে শান্তি দিন। খুনাখুনি বন্ধ করুন।

Posted by
Abraham Lingkon

More

নাস্তিক মুরতাদদের সাথে বন্ধুত্ব ত্যাগ করুন মুফতী ফয়জুল্লাহ

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ বলেছেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কুরআন সুন্নাহর আলোকে তাওহিদী জনতাকে সাথে নিয়ে আল্লাহর দ্বীনের সুরক্ষা ও পরিপূর্ণরূপে প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে রত একটি সম্পূর্ণ অসহিংস, অহিংস, সুশৃঙ্খল অরাজনৈতিক সংগঠন। যে সংগঠনের সাথে ইসলামের দৃষ্টিতে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত সকল কর্মকা-ের রয়েছে বৈরিতা। আমরা মনে করি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইসলামবিদ্বেষী সংঘবদ্ধ চক্রের হাত থেকে এদেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করার মতো স্বাধীন চিন্তা চেতনা কেবল আমাদেরই আছে। আল্লাহ ছাড়া আমাদের কোন অভিভাবক নেই।
তিনি বলেন, যারা মুমিন, মুসলমান, সরকারী দল হোক বা বিরোধী দল, তাদেরকে বিশ্বব্যাপী মুসলিম নিধন, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, সিরিয়ার গণহত্যা, ১৫ কোটি মুসলামানের দেশে নাস্তিক মুরতাদ, ও আল্লাহদ্রোহীদের নবীজী সা.-এর অবমাননাসহ পাঠ্য পুস্তকে ও শিক্ষা ব্যবস্থায় নাস্তিকতা ঢুকিয়ে এ জাতীকে বদলে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে হবে।
মুফতী ফয়জুল্লাহ আরো বলেন, উলামায়ে কিরাম জাতির বিবেক। আল্লামা শাহ আহমদ শফী তাদের পুরোধা। আমরা তাওহিদী জনতাকে সাথে নিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চাই। মহান আল্লাহ ও তার রাসূল সা. ছাড়া আর কারও লেজুড়ভিত্তি করি না। আমরা সর্বমহলকে অনুরোধ করছি, নাস্তিক, ইসলামের শত্রদের সাথে বন্ধুত্ব ত্যাগ করুন।
তিনি বলেন, আমরা যৌক্তিক, বুদ্ধিভিত্তিক অসহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে আল্লাহর রাসূল সা. প্রদর্শিত পথে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা ও হেফাজতে নিবেদিত একটি শক্তিশালী সংগঠন। মক্কার কিবলার দিকে সেজদাকারী কোটি কোটি মুসলমান এই সংগঠনের সদস্য। ইলেক্ট্রনিক্স, ও প্রিন্ট মিডিয়ার সকল ভাই বোনদের বলতে চাই, আপনারা দয়া করে আমাদেরকে কারও বি-টিম, সি-টিম বানিয়ে এটিকে ছোট করবেন না।
দেশের ইসলামপ্রিয় কোটি কোটি মুসলমান আখেরী নবীর সা. প্রাণপ্রিয় উম্মতদের উদ্দেশ্যে আমাদের বক্তব্য, কাফের, মুশরিক, নাস্তিক মুরতাদদের হাজারও ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আমরা আপনাদেরকে চির কাংখিত ইসলামের গন্তব্যেই নিয়ে যাবো। তারই প্রথম ধাপ হচ্ছে ৬ এপ্রিলের সারাদেশ থেকে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ। স্বার্থান্বেষীদের কোন কথায় কান না দিয়ে এদেশের বিজ্ঞ আলেম উলামাদের প্রতি আপনারা যে আস্থা দেখাচ্ছেন তা অব্যাহত রেখে সকল নবী রাসূল ও তাদের অনুসারীরে মতো আল্লাহ তাআলার নির্ধারিত কঠিন পরীক্ষাসমূহ পার হতে প্রস্তুত থাকুন। ৬ই এপ্রিলের লংমার্চ সফল করুন। আমরা মহান রবের কাছে সাহায্য চাই। ইনশাআল্লাহ চূড়ান্ত বিজয় আমাদের হবেই।
আজ সোমবার সকাল ১০টায় লালবাগস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে ৬ এপ্রিলের লংমার্চের স্বেচ্ছাসেবা দানে  আগ্রহী ইসলামী ছাত্র খেলাফতের ৩১৩ জনের শহীদী কাফেলা ও ঢাকার পার্শ¦বর্তী অঞ্চলের বিভিন্ন দায়িত্বশীলদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের প্রচার সেলের প্রধান মাওলানা আহলুল্লাহ ওয়াছেল, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আবদুল হাই ফারুকী,মাওলানা ফারুক আহমদ, মাওলানা জুনায়েদ গুলজার, মাওলানা আলতাফ হোসাইন, মাওলানা মনসূরুল হক, মাওলানা ইয়াকুব গাজী, মাওলানা ইসহাক, মাওলানা আবদুল আজিজ, মাওলানা গাজী ইয়াকুব উসমান,ছাত্র খেলাফত সভাপতি আনসারুল হক ইমরান, সেক্রেটারী খোরশেদ আলম, ছাত্র কল্যাণ সম্পাদক আল আমিন আজাদ, ঢাকা বিভাগীয় সম্পাদক মাহমুদুল হাসান আরাবী প্রমুখ

Posted by
Abraham Lingkon

More

বাংলাদেশের ব্লগারদের বিরুদ্ধে তথ্য আইনের ব্যবহার হবে

বাংলাদেশের গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, লেখালেখির মাধ্যমে 'ইসলামসহ অন্যান্য ধর্মের প্রবর্তকদের বিতর্কিতভাবে উপস্থাপন' করার অভিযোগে তারা ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরো দুইজনকে আটক করলেও পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।

এর আগে গোয়েন্দারা মঙ্গলবার আরো তিনজন ব্লগারকে গ্রেপ্তার করে।
রাজধানীর ইস্কাটন থেকে সকালে ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীনকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নেয়া হয়। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন যে মি. মহিউদ্দীনকে লেখালেখির মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
''সে প্রকৃতিবাদে বিশ্বাসী এবং ইন্টারনেটের বিভিন্ন মাধ্যমে তার লেখালেখিতে ব্যক্তিগত মতামতের মাধ্যমে মূলত ইসলামসহ অন্যান্য ধর্মের প্রবর্তকদের বিতর্কিতভাবে উপস্থাপন করত। আর এর মাধ্যমে মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে সে আঘাত হেনেছে, এ কারণেই আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি।''
প্রকৃতিবাদে বিশ্বাসী হওয়া বা নাস্তিক হওয়া বাংলাদেশের আইনে অপরাধ কিনা এই প্রশ্নের জবাবে মি. রহমান বলেন, ''বাংলাদেশের দন্ডবিধি এবং তথ্য অধিকার আইনে কেউ নাস্তিক থাকতে পারেন, কিন্তু তার লেখালেখির মাধ্যমে অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।''
গোয়েন্দারা ব্লগারদের প্রথম তিনজনকে আটক করে মঙ্গলবার।
গ্রেফতারের পর নিম্ন আদালত আদেশে এদের সাত দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
এই ব্লগারদের এমন এক সময়ে গ্রেফতার করা হলো যখন ‘নাস্তিক ব্লগারদের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা অভিমুখে আগামী শনিবার লং মার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
গোয়েন্দা হেফাজতে তিনজন ব্লগার
গোয়েন্দা হেফাজতে তিনজন ব্লগার
অন্যদিকে, ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্টরা এসব গ্রেপ্তারের ঘটনায় সরকারের নিন্দা জানিয়েছেন।
জাতীয় স্বার্থে অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট-এর সমন্বয়ক পারভেঝ আলম মনে করেন, এ ঘটনার মাধ্যমে সরকার হেফাজতে ইসলামের দাবির কাছে কার্যত নতিস্বীকার করল।
''এ ঘটনার মাধ্যমে সরকার হেফাজতে ইসলামে অন্যায্য ও বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের পরিপন্থী কিছু দাবির কাছে আপোষ করলো। একই সাথে ব্লগাররা গণমানুষের প্রতিনিধিত্ব করে এমন একটি শক্তি হিসেবে যে সম্ভাবনা দেখাচ্ছিল সরকার তা নস্যাৎ করে দিচ্ছে।''
গণজাগরণ মঞ্চ বন্ধ করে দেয়াসহ যে ১০ জন ‘নাস্তিক’ ব্লগারের ফাঁসির দাবি তোলে হেফাজতে ইসলাম, তাদের তালিকায় আসিফ মহিউদ্দীনের নাম ছিল।
এর আগে ব্লগে লেখালেখিকে কেন্দ্র করে গত ১৪ই জানুয়ারি রাতে উত্তরায় তার ওপর হামলা হয়।
ছুরিকাঘাতের গুরুতর জখম নিয়ে তিনি বেশ কিছুদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
মি. মহিউদ্দীনকে হত্যাচেষ্টার মামলায় গোয়েন্দা পুলিশ গত ১লা এপ্রিল চারজন যুবককে গ্রেপ্তার করে।
অন্যদিকে, গ্রেপ্তারকৃত চার ব্লগারের মুক্তির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলা এবং টিএসসিতে ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবি এবং রাজনীতিবিদদের কয়েকটি সংগঠন পৃথকভাবে মানব-বন্ধন এবং সংহতি সমাবেশ করেছে।

Posted by
Abraham Lingkon

More

সম্মানিত নাস্তিক ভাইদের বলছি

সম্মানিত নাস্তিক ভাইদের বলছি ....................................................................আসলে আমার এ লেখাটি কাউকে কষ্ট দেয়া, বা কারো অনুভুতিতে আঘাত হানা, বা কারো প্রতি অসম্মান দেখানোর জন্য নয় বরং নাস্তিক কোন ধর্ম নয়, নাস্তিক্যবাদ হল নিজস্ব চিন্তা প্রসুত একটা বিষয় সুতরাং কাউকে এ দিকে আহ্বান করা ঠিক নয় । যার যতটুকু চিন্তার পরিধি সে ততটুকু চিন্তা করবে এটাই সত্য, এজন্য অন্য আরেকজনকে নিজের চিন্তার দিকে আহ্বান করে তাকে চিন্তা করার অবকাশ না দিয়ে নিজের চিন্তা ঢুকিয়ে দেয়া আমি মনে করি সম্পুর্ণ অন্যায় । তাই আমি আকুল আবেদন জানাচ্ছি সম্মানিক নাস্তিক ভাইদের প্রতি আপনারা আপনাদের চিন্তা নিয়ে থাকেন দয়া করে আপনাদের চিন্তাগুলো আমাদের সাধারণ জনগনের মাঝে ছড়াবেন না..............................
 কোরআনে আছে ...প্রত্যেক মানুষকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করিতে হবে ।আর এই কথা সত্য যে, আজ পর্যন্ত কোন নাস্তিক আজীবন বেচে আছে এর কোন নজীর আজ পর্যন্ত আমি জানিনা বা শুনিনি । আর আগামীতেও শুনব না । তবে একটা কথা আমি সবাইকে বলে রাখি ।(আমি যে কথা বলতে যাচ্ছি এ কথার আমি মানি না বা বিশ্বাস করি না আর আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত করবও না)...........আচ্ছা যদি সত্যি সত্যি আল্লাহ নামে কেউ না থাকেন আর আমরা শুধু শুধু তাকেঁ মানি এবং তাঁর এবাদত করি তাহলে তো কিছুই হবেনা কারন নাস্তিকদের কথানুযায়ী পরকাল নাই এবং মানুষ মরে গেলে পঁচে যায় । আর যদি পরকাল থেকে থাকে তাহলে তাদের কি হবে?মরনের সময় যে কঠিন আজাব এর কথা বলা হয়েছে সে সময় তাদের চিৎকার কে শুনবে ,কবরে যে আজাবের কথা বলা হয়েছে তাঁর কি হবে ? আমরা তো বেঁচে যাব ।

Posted by
Abraham Lingkon

More

স্টিফেন হকিং, নাস্তিকতা ও ইসলাম : নাস্তিক/আস্তিক সব ব্লগারদের জন্যে

সাম ইন - এ নাস্তিকদের যে সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী রয়েছে তাদের মতের বিরুদ্ধে আমি আজ থেকে প্রতিদিন আপনাদের একটি মূল্যবান বইয়ের পুরো অংশ তুলে ধরতে চেষ্টা করবো ধীরে ধীরে।

বইয়ের নাম : স্টিফেন হকিং, নাস্তিকতা ও ইসলাম
লেখক : মুহাম্মাদ সিদ্দিক
প্রকাশকাল : আক্টোবর, ২০০০ ইং
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ২৭৬

হকিং-এর "সংক্ষিপ্ত সময়ের ইতিহাস"

ডঃ স্টিফেন ডব্লিউ হকিং আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞানীদের ভিতর একজন সেরা বিজ্ঞানী। তিনি শারীরিক দিক দিয়ে পঙ্গু। হুইল চেয়ারে চলাফেরা করেন। তবু শারীরিক পঙ্গুত্বকে হার মানিয়ে তিনি পড়াশুনা, গবেষণা চালিয়ে যান, পিএইচডি ডিগ্রী গ্রহণ করেন ও শেষতক ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্ক শাস্ত্রে লুকাসিয়ান অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্তি পান। এই পদে এক সময় স্যার আইজ্যাক নিউটন (বিশ্বের আরেক সেরা পদার্থবিজ্ঞানী) ছিলেন। অনেক বিশেষজ্ঞ হকিংকে আইনস্টাইনের পর একজন সেরা পদার্থবিজ্ঞানী বলে মনে করেন।

হকিং-এর একটি বই " এ ব্রিফ হিস্ট্রি আব্ টাইম" (সময়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস)। প্রায় দুশো পৃষ্ঠার এ বইটি মূলত অপদার্থবিদদরে জন্য লেখা পদার্থবিজ্ঞান সম্পর্কে একটি বই। তবু পদার্থবিজ্ঞান সম্পর্কে নতুন নতুন কথা রয়েছে ছোট্ট বইটিতে। সহজ করে বলার চেষ্টা করেছেন পণ্ডিত হকিং তার পাণ্ডিত্যের কথা। ১৯৮৮ সালে বইটি বাজারে আসে ও (বেস্ট সেলার)- সেরা বিক্রয়ের প্রশংসা হাসিল করে।

আমাদের এই বইটিতে আগ্রহের কারণ হলো পদার্থবিজ্ঞানের নবতর গবেষণার আলোকে ইসলামকে পরখ করে দেখা আর দ্বিতীয়ত ডঃ হকিং কর্তৃক স্রষ্টা ও ধর্ম সম্পর্কে কতিপয় মন্তব্যও পরখ করা। সাধারণত বলা হয় যে, বিজ্ঞানের নবতর গবেষণা ও আবিষ্কার ধর্মকে কোণঠাসা করেছে। এ ধারণা অন্যান্য ধর্ম সম্পর্কে কিছুটা সঠিক হলেও, ইসরাম ধর্ম সম্পর্কে এটি আরোপ করা অবৈজ্ঞানিকসুলভ হবে। ফ্রান্সের চিকিৎসা বিজ্ঞানী মরিস বুকাইলি কোরআন মজীদ নিয়ে গবেষণা করে তাঁর বিখ্যাত "দি বাইবেল দি কুরআন এন্ড সাইন্স" গ্রন্থে মন্তব্য করেছেন যে, কুরআনে কোনো রকম অবৈজ্ঞানিক তথ্য বা অসামঞ্জস্যতা নেই।

হকিং-এর বইটির ভূমিকাতে কার্ল সাগা (কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইথাকা, নিউইয়র্ক) লিখেছেন : This is also a good book about god... or perhaps about the absence of god. The word god fills these pages. Hawking embarks on a quest to answer Einstein’s famous question about whether god had any choice in creating the universe. Hawking is attempting, as he explicitly states, tounderstand the mind of god and this makes all the more unexpected the conclusion of the effort, at least so far, a universe with no edge in space, no beginning or end in time and nothing for a creator to do.

(ভাবানুবাদ : এটা ঈশ্বর সম্পর্কে একটা বই অথবা ঈশ্বর না থাকা সম্পর্কেও। ঈশ্বর শব্দটি এই বইয়ের পাতায় পূর্ণ। বিশ্ব সৃষ্টিতে ঈশ্বরের কোন পছন্দ ছিলো কি না- বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের এই বিখ্যাত প্রশ্নের জবাবের জন্য হকিং প্রচেষ্টা নেন। হকিং স্পষ্ট করে বলেছেন যে, তিনি ঈশ্বরের মনকে বোঝার চেষ্টা করেছেন। এ পর্যন্ত তিনি যে প্রচেষ্টা নিয়েছেন তার ফলাফল অপ্রত্যাশিত। হকিং চেয়েছেন এমন একটা মহাবিশ্ব, যার নেই কোনো কিনারা মহাশূন্যে, কোনো শুরু নেই, কোনো শেষ নেই এবং স্রষ্টার করার কিছু নেই।)

হকিং-এর উপর মন্তব্য করতে গিয়ে কার্ল সাগা যা বলেছেন, তাতে ঈশ্বরের যে পরিচয় ফুটে উঠে, বিশ্ব সৃষ্টিতে সেই ঈশ্বরের যেন কোন ইচ্ছা, পছন্দ-অপছন্দ, আগ্রহ ছিলো না, এমনকি তার করারও কিছু ছিলো না। তাহলে ধরে নিতে হয় বিশ্ব সৃষ্টিতে আর একটি শক্তি- যা ঈশ্বর অপেক্ষা শক্তিশালী- কাজ করেছে। তাই ঈশ্বরের করার কিছু ছিলো না। আর বিশ্বটাও এমনি যে, এর কোন শুরু নেই, শেষ নেই, কিনারা নেই। হকিং-এর মন্তব্যের অর্থ হলো যার শুরুই নেই, তার সৃষ্টিতে আর ঈশ্বরের প্রয়োজন কি?

আসলে হকিং ও কার্ল সাগা বিজ্ঞান চর্চা করতে গিয়ে বিজ্ঞানের বাইরের বিষয়গুলি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে সব তালগোল পাকিয়ে ফেলেছেন। ঈশ্বর আছেন কি না, তা কি পদার্থ বিজ্ঞানীর গবেষণার ওপর নির্ভরশীল ? শুধু পদার্থ বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে কি ঈশ্বরকে দেখতে হবে ? মানুষের আর সব জ্ঞানকে কি তবে সমুদ্রে বিসর্জন দিতে হবে ? হকিং তার বইয়ের শেষ দিকে উপসংহার অংশে দার্শনিকদের ব্যঙ্গ করেছেন। আসলে যে যে লাইনের পণ্ডিত তারটা ছাড়া অন্যেরটা তার তেমন পছন্দের হয় না। তারা মনে করেন যে, সব কিছু তাদের বিষয়ের আলোকে ব্যাখ্যা দেওয়া যাবে বা তাদের বিষয়েই নির্ভরশীল। কিন্তু ব্যাপারটি এত সহজ কি ?

হকিং মন্তব্য করেছেন যে, দার্শনিকগণ বিজ্ঞানের বিভিন্ন থিওরির (মতবাদ) উন্নতির সাথে তাল মিলাতে পারেননি। অষ্টাদশ শতাব্দীতে দার্শনিকগণ বিজ্ঞানসহ সমগ্র জ্ঞানকে তাদের বিষয়বস্তু মনে করতেন এবং তারা আলোচনা করতেন বিশ্বের কি শুরু ছিলো ?তারপর বিজ্ঞান বেশী টেকনিক্যাল ও গাণিতিক হওয়ায় দার্শনিকদের শুধু ভাষার বিশ্লেষণ ছাড়া আর কিছু করার থাকে নি। হকিং-এর এসব কথা অনুযায়ী যেহেতু দার্শনিকগণ বিশ্ব ও ঈশ্বর সম্পর্কে চূড়ান্ত কিছু দিতে পারেননি তাই দর্শন এখন আর কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। এখন যদি বিজ্ঞানীরা সমস্ত বৈজ্ঞানিক থিওরি কে একটি থিওরিতে আনতে পারেন, তাহলে ঈশ্বরের মনকে জানা যাবে। বিজ্ঞানীরা বিশ্ব সম্পর্কে একটি সাধারণ একক থিওরি আবিষ্কারের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন এবং তারা নাকি খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন !

শুধু পদার্থ বিজ্ঞানের চোখ দিয়ে সমগ্র বিশ্ব ও জ্ঞানকে যাচাই করে, দর্শনকে অবজ্ঞা করে এবং সাধারণ একক বৈজ্ঞানিক থিওরি আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের তথাকথিত অসহায়ত্ব প্রকাশ করে জ্ঞান-বিজ্ঞান কি সত্যের কাছাকছি পৌঁছতে পারবে ? যদি বিজ্হান প্রতিপন্ন করে যে, বিশ্বের শুর, শেষ ও কিনারা নেই, আর একটি মাত্র একক সাধারণ বৈজ্ঞানিক থিওরি সব কিছুর জন্য দায়ী তাতে ঈশ্বরের অসহায়ত্বটা কোথায় ? বিরাটতম ঈশ্বর কি বিরাট বিশ্বকে নিজস্ব পছন্দে সৃষ্টি করতে অক্ষম ? এই বিরাট বিশ্ব সৃষ্টিতে তাঁর কি কোন কাজই ছিল না ? না, তিনি না চাইতেই বিশ্ব সৃষ্টি হয়ে গেল ? হকিং-এর ধারণা অনুযায়ী এসব মেনে নিলে ঈশ্বর সম্পর্কে হিন্দু বা বিকৃত খৃস্টধর্ম সম্পর্কীয় ঈশ্বর ধারণাকে মেনে নিতে হয়। ইসলামের ঈশ্বর অর্থাৎ আল্লাহ সম্পর্কীয় ধারণা এ সবের উর্ধ্বে। বিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে- আর আল্লাহ তাঁর পরিকল্পনায় ছিলেন না বা তার করার কিছু ছিল না এতে- কতিপয় পদার্থ বিজ্ঞানীর এই ধরণের বিভ্রান্ত মতামত মানুষকে সত্য থেকে দূরে নিয়ে যাবে (নাস্তিক আরিফুর রহমান ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি !- হিমু রুদ্র)। এককালে দার্শনিকগণ বিজ্ঞান নিয়ে অনেক চিন্তা-ভাবনা করতেন। এই চিন্তা ভাবনার ফলে বিজ্ঞানের অনেক উন্নতি হয়েছে। তবে আজকাল বৈজ্ঞানিকগণ তাদের গণ্ডিভুক্ত জ্ঞান দিয়ে দার্শনিক প্রসঙ্গগুলোকে দেখছেন। সেই সঙ্গ ঈশ্বর সম্পর্কে আজগুবি তত্ত্ব দিচ্ছেন। এতে সত্য প্রকাশিত না হয়ে বিভ্রান্তিই সৃষ্টি করবে।

আর একটি কথা। পদার্থ বিজ্ঞানী হকিং মনে করেন যে, বর্তমানে বিজ্ঞান বেশি টেকনিক্যাল ও গাণিতিক হবার ফলে দার্শনিকগণ বিজ্ঞানে আর নাক গলাবার মওকা পাচ্ছেন না। জ্ঞান-বিজ্ঞানের একটি শ্রেষ্ঠ শাখা দর্শনকে এভাবে ব্যঙ্গ করা তার মতো বিজ্ঞানীর উচিতহয়নি। দর্শন যদি পরিত্যাজ্যই হবে, তবে কেন তিনি পিএইচডি ডিগ্রির জন্য লালায়িত ছিলেন। পিএইচডি হলো ডক্টরেট অব ফিলোসফি। পদার্থবিদ্যার ছাত্র হয়েও তাকে নিতে হয়েছে দর্শনের "তকমা"। এ সব কথার দ্বারা আমি দর্শনকে উচ্চে তুলতে চাই না। আমি বলতে চাই না যে, দর্শনই শ্রেষ্ঠ। আমি এটাও বলবো না যে, পদার্থ বিজ্ঞানই শ্রেষ্ঠ। আসলে জ্ঞান এক অবিভাজ্য অভিজ্ঞতা। এ এক বিশাল বৃক্ষ। এর শিকড় গভীরে প্রোথিত,ডালপালা ঊর্ধ্বে বিস্তৃত। পদার্থ বিজ্ঞান ও দর্শন বিজ্ঞান ছাড়াও জ্ঞানের অনেক ডাল-পালা রয়েছে, নানা শাখা-প্রশাখা রয়েছে। সবই জ্ঞানরূপ বৃক্ষের অংশ।

কোরআন মজীদ বলে : " সৎ বাক্যের তুলনা উৎকৃষ্ট বৃক্ষ যার মূল সুদৃড় ও যার শাখা-প্রশাখা ঊর্ধ্বে বিস্তৃত, যা প্রত্যেকে মওসুমে তার ফলদান করে তার প্রতিপালকের অনুমতি ক্রমে।.... কু বাক্যের তুলনা এক মন্দ বৃক্ষ যার মূল ভূ-পৃষ্ঠ হতে বিচ্ছিন্ন, যার কোন স্থায়িত্ব নেই।"
------------------------------------ (১৪ সূরা ইব্রাহীম : আয়াত ২৪-২৬)

ডঃ হকিং পদার্থ বিজ্ঞানে জ্ঞানী হতে পারেন। তবে কি তিনি এনাটমি, জিওলজি ইত্যাদিতে এইকইভাবে পণ্ডিত বলে গর্ব করতে পারেন ? এগুলোও বিজ্হানের অংশ। তবু সব বিজ্ঞানী সব অংশ সম্পর্কে একই পর্যায়ের পণ্ডিত নন। বিজ্ঞানের শাখা প্রশাখাতেই যদি এমন হজয়, তাহলে বিজ্ঞানের বাইরে জ্ঞানের যে শাখা প্রশাখা আছে, তা সম্পর্কে একজন বিজ্ঞানী কি সম-জ্ঞানের অধিকারী ? না, নন। কাজেই একজন পদার্থবিদের চোখ দিয়ে দেখা ঈশ্বর সম্পর্কে বিভ্রান্তকারী মনোভাব কিভাবে গ্রহণ করা যায় ? এতা কুবাক্য অনুরূপ। এ বাক্যের কোন স্থায়িত্ব নেই, এর মূল ভূ-পৃষ্ঠ থেকে বিচ্ছিন্ন।

বিশ্ব সম্পর্কে একটি একক থিওরি আবিষ্কার হলে ঈশ্বর কোণঠাসা হয়ে যাবেন বা তার ক্ষমতা সীমিত হবে বা তার করার কিছু থাকবে না আর মানুষ (বিশেষ করে একজন সেরা পদার্থবিদ) হবে চূড়ান্ত সত্য- এটা কিভাবে চিন্তা করা যায় ? একীভূত, একক বৈজ্ঞানিক থিওরি তো পক্ষান্তরে একত্ববাদেরই জয়গান গাইবে। সব কিছুর মূলে যে ঈশ্বর- তখনতো তাই প্রমাণিত হবে। বিভিন্ন থিওরি থাকলে কেউ কেউ বলতে পারতেন যে, নানা ঈশ্বর নানা থিওরি সৃষ্টি করেছেন। যখন থিওরি একটাই হবে, তখন এক ঈশ্বর যে এর স্রষ্টা- এটা বলাই স্বাভাবিক হবে। কাজেই একক বৈজ্ঞানিক থিওরি ঈশ্বরের ক্ষমতা বা অবস্থানের ক্ষতি করবে না। পদার্থবিদ হকিং পদার্থবিদ্যা ছেড়ে দর্শন বা ধর্মতত্ত্বের ঘরে হানা দিয়ে ঈশ্বরকে ক্ষমতাহীন করার ব্যর্থ কসরত করছেন !

কোরআন মাজীদ বলে : "আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে এক নিদর্শন : তাঁরই আদেশে আকাশ ও পৃথিবীর স্থিতি। তারপর আল্লাহ যখন তোমাদের মাটি থেকে ওঠার জন্য ডাকবেন, তখন তোমরা উঠে আসবে। আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে, তা তাঁরই। সকলেই তার হুকুম মানে। আর তিনিই অস্তিত্বে আনয়ন করেন, তারপর তিনি আবার একে সৃষ্টি করবেন- এ তাঁর জন্য সহজ। আকাশ ও পৃথিবীতে সর্বোচ্চ মর্যাদা তাঁরই। আর তিনিই শক্তিমান তত্ত্বজ্ঞানী।"
--------------------------------------------(১০ সূরা রূম : আয়াত ২৫-২৭)

"তুমি কি দেখনা যে, আল্লাহকে সিজদা করে যা কিছু আছে আকাশে ও পৃথিবীতে, সূর্য, চন্দ্র, নক্ষত্রমন্ডলী, পর্বতরাজি, বৃক্ষলতা, জীবজন্তু, আর সিজদা করে মানুষের মধ্যে অনেকে ? আবার অনেকের জন্য শাস্তি অবধারিত হয়েছে।"
------------------------------------------------(২২ সূরা হজ্জ : আয়াত ১৮)

"সাত আকাশ ও পৃথিবী আর তাদের মধ্যকার সবকিছুই তাঁর পবিত্র মহিমা ঘোষণা করে আর এমন কিছু নেই যা তাঁর পবিত্র মহিমা ঘোষণা করে না। অবশ্য ওদের পবিত্র মহিমা ঘোষণা তোমরা অনুধাবন করতে পার না।"
--------------------------------------------------(১৭ সূরা বনী ইসরাঈল : আয়াত ৪৪)

উপরোক্ত বক্তব্য থেকে বুঝা যাচ্ছে আকাশ ও পৃথিবীর সবকিছু আল্লাহকে মানছে। আল্লাহর আদেশেই চলছে সর্বত্র। আকাশ ও পৃথিবীর স্থিতি তাঁরই আদেশে নির্ভরশীল। শুধু মানুষের কিছু সংখ্যক তাঁকে মানছে না। কিন্তু বস্তুজগত (অর্থাৎ পদার্থবিদদের বিশ্ব) আল্লাহকে মানছে। তাই যদি হয়, তাহলে তার আদেশ তো একটাই হবে। তাই একক, একীভূত বিশ্ব থিওরি আবিষ্কৃত হলে আল্লাহর অসুবিধাটা কোথায় ?হকিং-এর মত কিছু পদার্থবিজ্ঞানী তাঁকে পুরাপুরি না মানলেও আল্লাহর কর্মপদ্ধতি পরিবর্তিত হবে না। তিনি আগে যা করেছেন, এখনও তাই করতে সক্ষম।

সৃষ্টি সম্পর্কে ঈশ্বরের কোন পরিকল্পনা ছিল কি-না, এব্যাপারে তাঁর কোন ইচ্ছা ছিলো কি-না, তিনি এ ব্যাপারে নির্লিপ্ত ছিলেন কি-না, তাঁর কিছু করার ছিলো কি-না, তাঁর ক্ষমতা সৃষ্টিতে সীমিত ছিলো কি না, তাঁর এখন করার কিছু আছে কি না, দর্শন বা ধর্মতত্ত্বের এসব প্রশ্নের উত্তর শুধু পদার্থবিদ্যা দিয়ে প্রদান করা ঠিক হবে না। ফিজিক্স-এর বাইরে রয়েছে "মেটা ফিজিক্স"। কোনোটাকে খাটো করা যায় না। "ফিজিক্স" যেখানে শেষ... "মেটাফিজিক্স" সেখানে শুরু। বিজ্ঞান যেখানে যেতে পারে না, দর্শন সেখানে বিচরণে সক্ষম।ধর্মতত্ত্ব সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে ও দর্শনকে ঠিক রাস্তায় নিতে পারে। ইসলামী ধর্মতত্ত্ব দর্শনকে ঠিক পথে চালাতে সক্ষম।

---------------------------------------(মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত চলবে)

Posted by
Abraham Lingkon

More

Categories

Powered By Blogger
abrahamalingkon

Social Icons

Popular Posts

Followers

Featured Posts

asbl. Blogger দ্বারা পরিচালিত.

Copyright © / আসুন আমরা ইভটিজিং বন্ধ করি ।

Template by : Urang-kurai / powered by :ahb