Not-
Found
সমকামী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সমকামী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সমকামী(১৮+)

সারা পৃথিবীতে যখন সমকামীদের নিয়ে প্রচন্ড আলোড়ন- উন্নত বিশ্বর কোন কোন দেশে যখন সমকামীদের বৈবাহিক বৈধতা দেয়া হচ্ছে- ঠিক সে সময়টাতেও কিন্তু রাশিয়াতে সমকামীদের প্রচন্ড ঘৃনা করা হত!
দুজন পুরুষ বা দুজন নারী এমনকি তারা যদি আপন ভাই কিংবা বোনও হয়-এক বিছানায় পাশাপাশি ঘুমোলে তাদেরকেও সন্দেহের চোখে দেখত।
আমি দেখেছি দুবোন কিংবা দুভাই যদি একান্ত বাধ্য হত পাশাপাশি শুতে তাহলে একজন মাথা দিত উত্তরে একজন দক্ষিনে! প্রথমে বুঝিনি এমনতর শোয়ার গুঢ় রহস্য।
পরে এক রুশভাই আমাকে ব্যাখ্যা করে দিলে আমি বাকহারা হয়েছিলাম বেশ কিছুক্ষন।
আরো আশ্চর্যের কথা রুশ রমনীরা পারতপক্ষে মর্দ্দা কুকুর পোষেনা আর পুরুষরা তার উল্টেটা!
ওখানে যখন দুজন পুরুষ বা নারী পাশাপাশি হাত ধরে হাটলেও অনেকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে আড়চোখে তাকায়-তখনো কিন্তু আমরা বাঙ্গালীরা উদাসীন। দুজনের বিছানায় ছজন লেপ্টালেপ্টি করে ঘুমাই । বন্ধুকে কদিন পরে দেখলেই আবেগের অতিশয্যে বুকে জড়িয়ে ধরি , আড্ডায় রাত জেগে কেউ ক্লান্ত হয়ে পড়লে পাশে বসা বন্ধুর ঘাড়ের উপর মাথা রেখে বিশ্রাম নেই।
এসব দেখে ওরা চোখ বড় বড় করে ভাবে এরা কি গন সমকামী?
কেউ একজন মুখ ফুটে বলে ফেললই একদিন ‘ তোমরা কি..? ’ শুনে আমরা হাসতে হাসতে মরি!
কোন একদিন ছিল সমগ্র রাশিয়ায় পতিতালয় নেই বলে তারা গর্ব করত । কিন্তু এখন সেই দিন আর নেই । এখন এরা বড় বেশী সহজলভ্য হয়ে গেছে।
১৯৯৬ সাল মাত্র চারপাচ বছর আগে যেখানে রুশরা আমাদের বঙ্গের ( হকার্স মার্কেট)কেনা সস্তা জিনস দেখে ভিমড়ি খেত এখন তারাই ব্যাবহার করছে বিশ্ব বিখ্যাত ফ্যাশন হাউজের পোষাক। যা দেখে আমরা এখন ভিমড়ি খাই!
বড় বড় কাচে ঘেরা জাকজমকপূর্ন এসব কোম্পানীর শোরুম দেখে সদ্য গ্রাম কিংবা মফস্বল তেকে আসা মেয়েরা ফ্যাল ফ্যাল করে এখনো চেয়ে থাকে । ভিতরে সাজানো এককটা পোষাক তাদের সপ্নে পাওয়া অর্থের থেকেও মুল্যবান।
ভয়ে হাত দিয়ে ধরে দেখতে সাহস হয়না। কিন্তু সেই মেয়েটাই যখন দুদিন পরে তেমন একট পোষাক পরে আপনার নাকের ডগা দিয়ে পুরের সুবাস ছড়িয়ে গ্যাট গ্যাট করে হেটে যাবে তখন নিশ্চই দিনের বেলা খোলা চোখে সপ্ন দেখছেন ভেবে ডাক্তারের কাছে ছুটবেন ।
এটা কি সম্ভব ? হ্যা সম্ভব! তবে কিভাবে। ওই পোষাকটা সেই মেয়েটার হয়তোবা একরাতের কামাই। আর ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই আশা করি।
কাল রবিবার। ছুটির দিন। শীতের রাত। আটটাতেই রাস্তাঘাট ফাঁকা তবে পাব বার ডিসকো থেক আর ক্যাসিনোতে উপচে পরা লোকের ভীড়। রাত দশটার দিকে আমরা চার বন্ধু মিলে যাচ্ছিলাম অন্য এক বন্ধুর বাসায় সারারাত আড্ডা দেবার অভিপ্রায়। জাকির গাড়ি চালাচ্ছিল। ঐতিহাসিক রেড স্কোয়ারের পাশ দিয়ে একটু এগিয়ে যেতেই পিছনের সিটে আমার সাথে বসা সুদর্শন ও বাগ্মী নিঝুম জাকিরকে একটু গাড়ি স্লো করতে বলল। জাকির ঘাড় ঘুড়িয়ে হেসে বলর ‘কি ব্যাপার নিঝুম তোমার ধান্দা কি।’ তার চাহনী রহস্যজনক।
কিন্তু মেলা দিন পরে এই শহরে আসা গেঁয়ো আমি বুঝতে পারলামনা এই কথা ও চাহনীর তাৎপর্য!
নিঝুম চোখ মেরে বলল,‘ রাস্তার পাশ ঘেষে চালান। একটু ফাজলামী করি।’ ব্যাপারটা কি আমি উৎসুক চোখে তাকালাম রাস্তার পাশে আধো আলো অন্ধকারে প্রথমে ভাল করে বোঝা যায়নি ভাল করে লক্ষ করতেই বোঝা গেল বিশাল চওড়া কালচে পাথরের ফুটপাথ ঘেষে থাকা প্রতিটা ল্যাস্প পোস্ট গুলোর আড়ালে দাড়িয়ে আছে কোন নারী বা পুরুষ । কাড়িটা ফুটপাথ ঘেয়ে একটু স্লো হতেই ওদের কয়েকজন আড়াল ছেড়ে বেরিয়ে এল ।
‘ওই মহিলার কাছে যান।’ একটু দুরে দাড়ানো এক মহিলাকে উদ্দেশ্য করে নিঝুম জাকিরকে বলল ।
জাকির নির্দিস্ট স্থানে গাড়ি থামাতেই সেই ভদ্র মহিলা চারিদিকে ভাল করে নজর বুলিয়ে এগিয়ে এল । নিজুম ততক্ষনে পিছনের কাচ নামিয়ে ফেলেছে।
মহিলা কাছে এসে মাথাটা ঝুকিয়ে চাপা কন্ঠে বলল ‘, শুভসন্ধ্যা ভদ্রগন। আপনাদের কি প্রয়োজন?’
‘কি তোমার কাছে আছে?’ নিঝুমের সিরিযাস কন্ঠ শুনে আমি চমকে গেলাম।
মহিলা একটু চুপ থেকে বলল ,’ যা চাও ।যেরকম চাও সবই আছে।’
‘কি কেমন আছে একটু ব্যাখ্যা কর?’
‘বারো থেকে শুরু করে বাহান্ন সবই আছে । লম্বা খাটো শুটকি মুটকি এমনকি সেরা অভিজাত বংশের রুশ সুন্দরীকেও পাবে।তবে খরচটা একটু বেশী।’
নিঝুম মাথা নেড়ে বলল,‘ না চলবে না । আর কি আছে?’
মহিলা পিছনের একটা বাসার দিকে ইঙিত দিয়ে বললেন ‘আমার সাথে নেমে গিয়ে ওই বাসাটাতে চল ওখানে সবই আছে তুমি দেখে পছন্দ করে নিও।’
‘উহু ,তোমার ওখানে তো সব যুবতী আর নারী নাকি?’
‘হ্যা । অবশ্যই ।’ মহিলা দৃঢ় কন্ঠে বলল ।
’কিন্তু আমাদের যে দরকার অন্যকিছু ।’
‘কি দরকার?’ মহিলার কন্ঠে বিস্ময় ।
নিঝুম তাকে ইশারায় আরেকটু কাছে আসতে বলল । সে দুপাশে ঘাড় ঘুড়িয়ে ভাল করে লক্ষ্য করে মাথাটা আরেকটু কাছে নিয়ে এল॥
নিঝুম চাপা কন্ঠে বলল ,‘ আমাদের দরকার দুটো ছেলে। আছে তোমার কাছে ?’
কথাটা মাটিতে পরার আগেই ‘ও বজ্বা মোই!(ও মাই গড) বলে চিৎকার করে মহিলা সভয়ে ছিটকে পিছিয়ে গেল অনেখখানি! আমরা ভিতরে বসা সবাই মিলে একসাথে হো হো করে হেসে উঠলাম। জাকির গাড়ি ছেড়ে দিল একটু এগিয়ে যেতেই পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি মহিলাটি হা হয়ে বিস্ফোরিত নেত্রে আমাদের গমন পথের দিকে চেয়ে আছে।
সন্দেহ নেই তার এই জীবনে এমন ঘটনার সন্মুখিন হয়নি।
তবে একটা ব্যাপার দিনের মত পরিস্কার হয়ে গেল যে এরা সমকামীদের এখনও যেথেস্ট ঘৃনা করে !

Posted by
Abraham Lingkon

More

চীনে ১৬ মিলিয়ন মহিলা সমকামী পুরুষকে বিয়ে করে

কুইনদাও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ঝ্যাং বেই-চুয়ান সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন, চীনের প্রায় ১৬ মিলিয়ন মহিলা গে পুরুষকে বিয়ে করে। তার মতে চীনের মোট বিয়ের শতকরা তিন ভাগ এই ধরনের বিয়ে সংঘটিত হছে। ১৯৯৭ সালে চীনে সমকামিতাকে বৈধতা দেয়া হয়। ২০০১ সালে সমকামিতাকে মানসিক ব্যাধির তালিকাহতে বাদ দেয়া হয়। গে কমিনিউটির সদস্যদের সেখানে কোন বাধা দেয়া হয় না। কিন্তু অনেকেই বাধা দেয়ার চেষ্টা করে।

বাই-চুয়ান বলেন, গে দের অনেকেই সামাজিক প্রত্যাশায় বিয়ে করে। কিন্তু সেটা বউ এর জন্য সেটা কখনোই সুখকর হয় না। ২৯ বছর বয়স্ক জিয়াও ইয়াও, যার বিয়ে হয়ছে একজন সমকামী পুরুষের সাথে। সে তার মত মহিলা যারা একই পরিস্থিতির শিকার হয়েছে তাদের জন্য একটা ওয়েবসাইট খুলেছেন। “অধিকাংশ গে পুরুষের বউয়েরা নিরবে স্বামীদের কাছে বঞ্চনার স্বীকার হয়। যারা কখনোই বউদেরকে ভালবাসে না। আমার মত অনেকেই স্বামীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয় এবং প্রচুর চাপের ভিতর থাকে।আমাদের ওয়েব সাইট তাদের মানসিক ভাবে তাদের শক্তি যোগাবে যে তারা একা নয় এবং তাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহস যোগাবে।”

গে কমিউনিটির কেউ কেউ এই রিসার্চের রেজাল্ট নিয়ে বিতর্ক করছে। এইচ আইভি/এইডস প্রতিরোধের সাথে যুক্ত জিয়াও ডন একজন গে। তিনি এই রেজাল্ট কে চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন এটা আসলে একটি বানোয়াট এবং পয়েন্টলে, ভিত্তিহীন প্রচারণা। কিছু লোকের উপর যৌন চাহিদা নিয়ে গবেষণা করে তা সমগ্র চীনের মানুষের উপর হিসেব করা কখনোই বৈধ হতে পারেনা।

বাংলাদেশে গে'রা সাধারনত ধর্মীয় ও সামাজিক চাপে বিয়ে করতে বাধ্য হয়। বাংলাদেশের সেই সব মেয়েদের লাঞ্চণার খবর কি আমরা রেখেছি?

Posted by
Abraham Lingkon

More

বৃটিশ সমকামী ডিপ্পনের সাথে ৫ বছরের সমকামী সম্পর্কে বাংলাদেশী সুমন: সামনে ঈদ, পুলিশের চুলকানী - কোতোয়ালি থানায় মামলা

সিলেটের যুবক সুমন ও জাকিরের সঙ্গে হোটেল কক্ষে সমকামিতায় লিপ্ত ছিল বৃটিশ নাগরিক এ্যালেন হাওয়ান ডিপ্পন। এই খবর আসে সিলেটের কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে। পুলিশের একটি দল তাৎক্ষণিক অভিযান চালায় হোটেল কক্ষে। তারা গিয়ে হোটেলের একটি কক্ষে তিনজনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় বৃটিশ নাগরিক ডিপ্পনের সমকামিতার অভিযোগে বাংলাদেশের যুবক সুমন ও জাকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার নগরীর আম্বরখানাস্থ হোটেল বৃটানিয়ার ৫তলার ৫০৫ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। আটক বৃটিশ নাগরিক এ্যালেন হাওয়ান ডিপ্পন যুক্তরাজ্যের লুসন বিডিএসএলইউ ৩২ এনএলের মার্সা রোড ১৪৪নং বাসার বাসিন্দা। তার সাথে আটক বাংলাদেশী কিশোর সুমন (২০) সুনামগঞ্জের মধ্যনগর গ্রামের মালিক আহমদের ছেলে। সে নগরীর পাঠানটুলার সফিক মিয়ার বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতো। জাকিরের বাড়িও একই এলাকায়।

আটকের পর বৃটিশ নাগরিক ডিপ্পনকে আটকের পর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কোতোয়ালি থানায় গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন বলে জানা গেছে। অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা সিলেটের কোতোয়ালি থানার এসআই রবিউল ইসলাম মাসুম জানান, আটককৃত বৃটিশ নাগরিক এ নিয়ে ৮/১০ বার বাংলাদেশে এসেছেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়। তার পাসপোর্ট নম্বর-৫৪০১৪৩৮৫০। বাংলাদেশে অবস্থানকালে তিনি প্রতিবার সুমনকে খুঁজে নিয়ে আসতেন। আর সুমন তাকে ৫ বছর যাবৎ সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছে। এভাবে আরও বেশ কয়েকটি ছেলের সাথে সমকামিতায় জড়ানোর কথাও পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন ডিপ্পন।

এ বছরের প্রথম দিকে নগরীর ধোপাদিঘীরপারস্থ হোটেল মেট্রো থেকে একই অভিযোগে আটক করা হয়েছিল বৃটিশ নাগরিক পিটার এ্যালিসনকে। ওই সময় তার সঙ্গে একই কক্ষ থেকে সুমানগঞ্জের এক কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছিল। এ ঘটনায় এস আই রবিউল হক মাসুম বাদী হয়ে দণ্ডবিধি ৩৭৭ ধারায় এ্যালন হাওয়ার্ডের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৩৭। কোতোয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই নারায়ণ দত্তকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বিদেশী নাগরিক হওয়ায় অতিরিক্ত সতর্কতার সঙ্গে ডিপ্পনকে কোতোয়ালি থানায় বার বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা কোতোয়ালি থানার সাব ইন্সপেক্টর নারায়ণ জানিয়েছেন, আটকের পর ডিপ্পন নিজেও ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক বর্ণনা দিয়েছে। এবং সুমন ও জাকিরের সঙ্গে তার সমকামিতা রয়েছে বলে জানিয়েছে সে।

Posted by
Abraham Lingkon

More

সমকামী বিয়ে বৈধতা পেলো নিউ ইয়র্কে

যুক্তরাষ্ট্রের ষষ্ট অঙ্গরাজ্য হিসেবে সমকামীদের মধ্যে বিয়ের বৈধতা দিলো নিউ ইয়র্ক।
গভর্নর অ্যান্ড্রু সিউমো শুক্রবার এ সংক্রান্ত একটি বিলে সই করেন। এদিন নিউ ইয়র্ক সিনেটে ৩৩-২৯ ভোটে বিলটি পাশ হয়।
২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ও কংগ্রেস নির্বাচনের আগে সমকামীদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজয় হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
গভর্নর অ্যান্ড্রু সিউমো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "এ ভোট সারা দেশে একটি বার্তা ছড়িয়ে দেবে। এটাই এগিয়ে যাওয়ার পথ, এটা এখনই করার সময় এবং এটা অর্জন সম্ভব। এটা এখন আর স্বপ্ন বা আকাঙ্খার বিষয় নয়। আমি মনে করি, আপনারা একটি সামাজিক বিকাশ দেখতে পাচ্ছেন।"
"সামাজিক ন্যায় বিচারের একটি নতুন পর্যায়ে পৌঁছালাম আমরা।"

এ আইনটি আগামী ৩০ দিনের মধ্যে কার্যকর হবে। তখন নিউ ইয়র্কে সমকামীরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন। এছাড়া আইনে সমকামী যুগলদের তালাকের বৈধতাও থাকছে।

সমকামী বিয়ে বৈধতা পাওয়ায় অঙ্গরাজ্যের রাজধানী অ্যালবানির সিনেট গ্যালারি এবং নিউ ইয়র্কের স্টোনওয়াল ইনের বাইরে সমবেতরা উল্লাস মেতে ওঠে। এ স্টোনওয়াল ইনে ১৯৬৯ সালে সমকামীদের অধিকারের দাবিতে আন্দোলনরতদের ওপর হামলা চালায় পুলিশ।
এদিন এখানে কয়েকশ' মানুষ সমবেত হয়ে তাদের আন্দোলনের সফলতা উদযাপন করে। সেখানে উপস্থিত ৩৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থী ক্যারোলিন জিগার বলেন, "এখন সময় এসেছে। আমি বিয়ে করতে চাই। অন্য সবাই যেসব অধিকার ভোগ করে সেগুলো আমিও চাই।"
সমকামী বিয়ের বৈধতাকে স্বাগত জানিয়ে নিউ ইয়র্ক শহরের মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ বলেন, সমতা ও ব্যক্তি স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এটা একটা ঐতিহাসিক বিজয়।
তবে এতে গভীর হতাশা ব্যক্ত করেন নিউ ইয়র্কের ক্যাথলিক বিশপরা।

Posted by
Abraham Lingkon

More

সমকামী-২ (১৮+)

নিকেতন থেকে বের হয়ে মুল রাস্তায় আসলাম ট্যাক্সি কিংবা অটোরিক্সার খোজে। সন্ধ্যে সাতটা বাজেনি তখনো। কর্পোরেট অফিসগুলোতে ছুটি হচ্ছে-এখন ভাড়ায় গাড়ি পাওয়া বেশ কষ্টের। ট্যাক্সি চালকেরা তাদের প্রিয় গন্তব্যে পছন্দের যাত্রীকে নিয় ইচ্ছেমত ভাড়া হাকাতে ব্যাস্ত। দুয়েকটা খালি গাড়ি আসলেই ছুটো যাচ্ছে কয়েকজন-আর মওকা বুঝে চালকেরা ভাব নিচ্ছে। দুয়েকজন হা না বললেও বেশীরভাগই হয় মাথা ঝাকাচ্ছে নয়তো কিছু না বলেই আরো জোরে গাড়ি ছুটিয়ে চলে যাচ্ছে।ঢাকার রাস্তায় এই ট্যাক্সি চালকের দৌরাত্মে নিজেকে বেশ অসহায় মনে হয়।গাড়ি কেনাটা আর তখন বিলাসিতা মনে হয়না-সবচে জরুরি বিষয় বলেই ভাবতে ইচ্ছে করে।মৌলিক চাহিদা অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের সাথে গাড়িটাকে জুড়ে দিতে ইচ্ছে করে।
পাশের ব্যাংক থেকে এক রমণী অভদ্রের মত আমাকে টপকে সামনে গিয়ে উল্টোমুখে দাড়িয়ে মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে বা হাতে আইডি কার্ডের ফিতেটা ঘুরিয়ে যেভাবে ঠ্যাং নাচাচ্ছিল তা দেখে মেজাজ বিগড়ে গেল।আমিও ইচ্ছে করলে তার সামনে গিয়ে দাড়াতে পারি কিন্তু সংস্কারে বাধে।
নাহ্ এখানে এভাবে দাড়িয়ে থাকার কোন মানে হয়না।হাতে যখন সময় আছে এর থেকে রিক্সায় গুলশান একনম্বর গিয়ে বাসে করে যাই।সময় থাকলে এমনিতেই অনেক সময় বাসে চড়ি-সেখানে প্রতিমুহুর্তেই নতুন নতুন কাহিনীর জন্ম হয়-শুধু চোখ মেলে বসে কান পেতে শুনলেই হল।
অফিস ছুটির সময় তাই স্বভাবতই এখন বাসে আরো বেশী ভীড়।সৌভাগ্যবশত সিট পেয়ে গেলাম। তিন সিটের দুপাশে দুজন বসে ছিল -মাঝেরটা খালি। বাম পাশের যাত্রীটা হাটু সরিয়ে আমাকে ভিতরে যাবার পথ করে দিলেন। দুজন যাত্রীর মাঝখানে বসাটা আমার বেশ অপছন্দের। একটু বিষন্ন মনে বললাম- ভাই মাঝখানেই পাঠালেন?
লোকটা বেশ ভাল, অমায়িক হেসে বললেন, কেন আপনি সাইডে বসতে চাচ্ছেন?সমস্যা নেই,বসেস-বসেন। বলে তিনি সরে গেলেন।
কি ভুল করলাম পরমুহুর্তেই বুঝলাম। পরের স্টপেজে হুড়মুড় করে বেশ কিছু যাত্রী উঠল। আমার পাশে এসে দাড়াল হাতে পোর্টফোলিও নিয়ে মার্জিত পোষাক পরা একহারা গড়নের লম্বা ফর্সা এক তরুন।বাসে তখনো গাদাগাদি ভীড় নেই পিছনে ফাকায় দাড়ানোর সুযোগ পেয়েও সে কেন দরজার কাছে আমার পাশেই এসে দাড়ালো বুঝলামনা।
বাস ফের চলতে শুরু করল। আমি নিমগ্ন হলাম আমার ধ্যানে।
খানিক বাদে একটু অস্বস্তি! ছেলেটা খুব বেশী ঘেষে আছে আমার বাহুর সাথে।বাসের ঝাকুনি ঢিমে তালে হলেও এস বেশ জোরে জোরে দুলছে। প্রথমে পাত্তা দেইনি ডান দিকে একটু চেপে বসলাম।
পরের স্টপেজে আরো কিছু যাত্রী উঠল।এবার বাস ভরে গেছে-ছেলেটা কিন্তু কোথাও না সরে সেখানেই দাড়িয়ে রইল ঠায়। আবার চলতি বাসে তার ঘষাঘষিতে মালুম হল মামু অন্য কিসিমের!ডাইনে বায়ে সরলাম এদিক ওদিক ঘুরলাম কিন্তু সে তার লক্ষ্যে অনড়। এবার আবার নিজের ভুল ভেবে নিজের মধ্য ডুব দেবার চেষ্টা করলাম। ভেবে ওখানে এক রমনীই দাড়িয়ে আছে-কল্পনায় না হয় একটু আদিম সুখই অনুভব করলাম। কিন্তু না সপ্নের শুরুতেই হোচট খেলাম!কঠিন পুরুষাঙ্গের ঘর্ষন নারীর কোমলতার সাথে যে বড্ড বেমানান। মনে হল উঠে দাড়িয়ে জোরে এক থাপ্পর মারি-শালা বিতলামীর আর জায়গা পাওনা।উমহু ব্যাপারটা শোভন হবেনা-ফের সংস্কারের বাধা!
ঘাড় ঘুরিয়ে ছেলেটার দিকে তাকালাম ভাল করে। ফর্সা র্সুদর্শন লো পাওয়ার্ড চশমা তাকে বেশ ইনোসেন্ট লাগছে।সবকিছু ভুলে বাইরে কিছু একটা আতিপাতি করে এমন ভাবে খুজছে যে নিন্মাঙ্গের কোন বার্তাই তার মগজে গিয়ে পৌছায়নি। দুটো মাথা দুই ভাবনায় ব্যাস্ত।তার উদ্দেশ্যে কয়েক ডজন গালি জিভের অগ্রভাগে এসে কিলবিল করল শুধু।

আপনি কি জানেন কত শত পুরুষ শিশু কিশোর পুরুষদের দ্বারা ধর্ষিত হয় প্রতিবছর?

আমি ব্যাক্তিগত ভাবে সমকামিতাকে ঘৃনা করি কিন্তু সমকামীকে নয়(অনেকটা পাপকে ঘৃনা কর পাপীকে নয়-এর মত),কেননা তারা কোনমতেই বিপরিদ লিঙ্গের প্রতি আকর্ষন অনুভব করেনা।এটাতো স্বীকৃত যে সমকামীতা একধরনের অসুস্থতা-প্রকৃতির এই নিষ্ঠুর খেলার কাছে তারা অসহায়!অতএব তাদের ঘৃনা করাটা বোধ হয় ঠিকনা।।
কিন্তু সারা বিশ্বেই অন্য এক ধরনের সমকামী বা উভকামীর দেখা মিলবে। এদের কোন বাছ বিচার নেই। বিপরিদ লিঙ্গের কাউকে না পেলে এরা সমলিঙ্গের সাথেও দৈহিক মিলনে লিপ্ত হতে দ্বীধা করেনা। নিজের রিপুকে দমন করার জন্য এরা যে কোন পন্থা অবলম্বন করে।আমাদের দেশের মত ধর্মীয় কারনে বা সামাজিক ভাবে রক্ষনশীল দেশেই এদের আধিক্য। অবশ্য সবখানেই একঘেয়েমীতা বা রুচি পরিবর্তনের জন্য কিছু মানুষ সমকামীতায় আগ্রহী হয়।
অল্প চেনা অতিচেনা কিংবা অচেনা কোন সবল পুরুষের কাছে একই বিছানায় যখন আমরা একটা কিশোরকে আমরা ঘুমোতে পাঠাই নিশ্চন্তে তখন কি একবারও ভাবি-কি ভয়াবহ একটা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে সেই একটা রাতে?সেই কিশোরটি কাউকে বলতে পারেনা-হয়তো কেউ বিশ্বাস করবে না ভেবে।কি নিদারুন ভয়ঙ্কর লজ্জা অপমান গ্লানীতে নীল হয়ে সে মুষড়ে থাকে-সারাটাজীবনই হয়তো সে মনের একান্ত গহীনে সে কষ্টটাকে বয়ে বেড়ায়।

ঠিক তেমনি একটি ভয়ঙ্কর ধর্ষনের ঘটনার বর্ণনা করছি আমার এক অতি ঘনিষ্ঠ বন্ধুর নিজের জবানীতে;
তখন বয়স ১১/১২ হবে।নারীদের প্রতি অল্প বিস্তর আকর্ষন বোধ করি, রুপ দেখে বিমোহিত হই, কল্পনায় সপ্ন গিজগিজ করে রুপকথার আদলে। সন্তান উৎপাদনের পুরোপুরি প্রক্রিয়া থকনো জানা হয়নি।যৌন বিষয়ক কথাবার্তা বহুবার পিউরিফাইড হয়ে কানে আসে।
ভাবতাম যৌন সম্ভোগ শুধু খারাপ লোকেরাই করে।আমার পরিবার,পরিবেশ আর আশেপাশের কালচার এইভাবেই আমাদের শিখিয়েছিল।নিরাভরন নারিদেহ দেখার দুর্নিবার আকাঙ্খা থাকলেও সেইটে ছিল শুধু নিষিদ্ধ কোন কিছু চোখ দিয়ে স্পর্শের আকাঙ্খায়।
ইন্টারনেট টিভির দৌরাত্ম আর খোলামেলা ছবির আগ্রাসনতো তখনো শুরু হয়নি-তাই এই প্রজন্মের থেকে অনেকখানি পিছিয়ে ছিলাম তখন।
সমকামী ব্যাপারটা তখন ধারনার মধ্যেই ছিলনা।একসাথে গাদাগাদি লেপ্টালেপ্টি করে শত শত পুরুষ নারী শুয়ে থাকলেই কি-নির্জলা বন্ধুত্ব কিংবা আত্মিক সম্পর্ক ছাড়া তাদের মধ্যে অন্য কোন সম্পর্ক থাকতে পারে সেইটে কল্পনা থেকে বহু লক্ষ্য যোজন দুরে ছিল।
সেই পুচকে বয়সে আমার দুই বোন আমাকে বডিগার্ড হিসেবে নিয়ে গেল বেড়াতে আমাদের দুরসম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাড়িতে।সম্পর্ক দুরের হলেও তাদের আন্তরিকতাও আতিথিয়েতা ছিল দারুন।জোড়াজুড়িতে সেই রাতে সেখানে থেকে যেতে বাধ্য হলাম সবাই।মেয়েদর থাকার জায়গার ব্যাবস্থা হলেও আমাকে নিয়ে পড়ল ফ্যাসাদে!তখন না বড় না ছোটর দলে।
অবশেষে আমার জায়গা হল তাদেরই ভাড়া দেয়া এক মেস বাড়িতে।মাঝারি একটা রুমে তিনখানা খাট। তিনজন বোর্ডার মাত্র। জায়গা হল তন্মধ্যে বেশ বড় একখান খাটে সজ্জন এক বোর্ডারের সাথে।
তখনো হাফ প্যান্ট পরি। গায়ের জামাখানা খুলে রেখে বিছানায় শরির এলিয়ে দিলাম।
এরকম পরিবেশ আমার জন্য একদম নতুন -অপরিচিত কারো সাথে ঘুমাইনি কখনো, তাই প্রথমে একটু অস্বস্তি লাগলেও জার্নি আর হুটোপাটার ধকলে ক্লান্ত আমি ঘুমিয়ে পরলাম পরক্ষনেই।
গভীর রাত; ঘুম ভেঙ্গে গেল-দম আটকানো অস্বস্তি কর একটা চাপ অনুভব করছিলাম।
ঘুম ঘোরে ভেবছিলাম সপ্ন দেখছি-পরমুহুর্তেই ফিরে এলাম বাস্তবে।ভীষন আতংকিত হয়ে লক্ষ্য করলাম আমার পাশে শুয়ে থাকা সবল রোমশ পুরুষটা আমাকে জোরে চেপে ধরে তার উত্তিথ পুরুষাঙ্গ দিয়ে আমার দুপায়ের ফাকে জোরে জোরে ঘষছে। সারা দেহ থরথর করে কেপে উঠল আমার ভীষন ভয় পেয়ে গেলাম।তবুও মনে ভীষন সাহস সঞ্চয় করে ঝাড়া দিয়ে উটে বসে আতংকিত কন্ঠে বললাম- এসব কি করছেন?
লোকটা আচমকা আমার কাছ থেকে এমন প্রতিরোধ আশা করেনি- সেও ধড়মড় করে উঠে বসে-কাপা কাপা কন্ঠে এক্কেবারে কিস্যু জানেনা এমন ভঙ্গীতে বলল,কেন কি করেছি?
-আমি আরো জোড়ে চেঁচিয়ে উঠলাম, মানে আপনে জানেননা কি করেছেন? আমি সবাইকে বলে দেব।
তখুনি সে আমার মুখ চাপা দিয়ে হিস হিস করে উঠল, খবরদার কাউকে বলবা না তাইলে খুন করে ফেলব।‘
পাছে ঘুমিয়ে পড়লে সে আমাকে মেরে ফেলে সেই ভয়ে আতংকে সারারাত আমি ঠায় বসে ছিলাম সেখানটায়। ভোরের দিকে হয়ত একটু তন্দ্রার মত এসেছিল-ফের চোখ মেলে চাইতেই দেখি বিছানা ছেড়ে পালিয়েছে সে- সকালের মিষ্টি রোদের আলো ভরে আছে সারা ঘর।
ভোরের আলোর স্পর্শে হয়ত আমি ভয় মুক্ত হয়েছিলাম-তবু সেই রাতের স্মৃতি আমাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়িয়েছে আরো বহু বছর।

Posted by
Abraham Lingkon

More

এক বছরে সমকামী পুরুষ ও সমকামী নারীদের মধ্যে ৭০০ টি বিয়ে হয়েছে৷

মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটি কর্তৃপক্ষ জানালেন, ২০১০ সালের ৪ মার্চ থেকে এক বছরে সমকামী পুরুষ ও সমকামী নারীদের মধ্যে ৭০০ টি বিয়ে হয়েছে৷ এগুলোর মধ্যে পুরুষ সঙ্গীর সাথে বিয়ে হয়েছে ৩৬৭ জন গে'র এবং নারী সঙ্গীর সাথে বিয়ে হয়েছে ৩৩৩ জন লেসবিয়ানের৷ এসব সমকামী যুগলের মধ্যে ৭৩ শতাংশই বিদেশি বলে জানিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ৷ বাকিরা অবশ্য মেক্সিকোর নাগরিক৷

সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, সমলিঙ্গের সঙ্গীর সাথে বিয়ের পিঁড়িতে বসা এসব নারী-পুরুষের নয়জনের বয়স ৭১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে৷ মেক্সিকোর কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য সমকামীদের বিয়ে সংক্রান্ত এই আইনের বিরুদ্ধে লড়ছে৷ তবে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের রায় গেছে মেক্সিকো সিটির পক্ষেই৷ ফলে বিশ্বের অন্যান্য দেশে সমকামী সঙ্গীকে বিয়ে করতে অপারগ নারী-পুরুষও এসে ভিড় জমাচ্ছে এই নগরীতে তাদের স্বপ্ন পূরণে৷

এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী সিডনিতে আজ রাতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম সমকামী উৎসবগুলোর অন্যতম ‘গে অ্যান্ড লেসবিয়ান মার্ডি গ্রা'৷ ৩৪তম বার্ষিক এই আসরে সাড়ে আট হাজার সমকামী নারী পুরুষ অংশগ্রহণ করছে বলে জানা গেছে৷ সমকামীদের এই বিশাল উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন হলিউড তারকা লিলি টমলিন৷ 

Posted by
Abraham Lingkon

More

সিডনীতে বাঙালী সমকামী

সারা বিশ্বে সমকামীতা যেভাবে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে তা সমাজবিদ্যায় একটা খুব ইন্টারেস্টিং বিষয়। কিন্তু আমার কথা তা নয়। আমরা বাঙালীরা সাধারণত এসব বিষয় একটু এড়িয়ে চলি। কিন্তু খুবই আশ্চর্য হলেও সত্য যে সিডনীতে অনেক সমকামী বাঙালী বসবাস করেন। আরও মজার ব্যপারটা হচ্ছে এমন দুজন বাঙালীর খবর এদেশের পত্রপত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে যে তারা অষ্ট্রেলিয়ায় থাকার জন্য নিজেদের সমকামী হিসাবে কোর্টে হাজির করেছেন। তারা এ বলে মাননীয় কোর্টকে বুঝালেন যে তারা যদি বাংলাদেশে গিয়ে তাদের সমকামী সম্পর্ক বজায় রাখেন তাইলে তাদের জীবন নাশের সম্ভাবনা আছে। তাই তারা অষ্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে থাকতে চান। যেমন চাওয়া তেমন পাওয়া। এই দুজন স্থায়ীভাবে অষ্ট্রেলিয়া থাকার অনুমতি পেয়ে গেলেন।

আপনারা তাদের এই কর্মকে কিভাবে দেখছেন ? এটাকি সুকর্ম !!! না কুকর্ম ???

http://www.mnalamfarid.com

Posted by
Abraham Lingkon

More

আরবদের সমকামীতার নগ্নরুপ। এবার পরিচারককে খুন করল এক সমকামী সৌদি যুবরাজ

যেমনটি আমরা ইতিহাসলদ্ধ জ্ঞান এবং পরকালের ইসলামী প্রলোভন থেকে জানতে পারি--আরবরা প্রাচীনকাল থেকে সমকামী এবং কামুক। এর একটি নিকৃষ্ট প্রমাণ সম্পৃতি ঘটে যাওয়া নিচের এই সংবাদেই পাবেন। নিউজটি বিডিনিউজ ২৪ডটকমের সৌজন্যে প্রাপ্ত।


সৌদি যুবরাজ সৌদ আবদুল আজিজ বিন নাসের আল সৌদ লন্ডনের একটি বিলাসবহুল হোটেলে তার পরিচারককে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এই হত্যার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন প্রচেষ্টার আলামত পাওয়া গেছে বলেও মঙ্গলবার ব্রিটেনের ওল্ড বেইলি আদালতকে জানিয়েছেন সরকারপক্ষের আইনজীবী জনাথন লেইড ল।

তবে সৌদি যুবরাজ এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

গত ১৫ ফেব্র"য়ারি বন্দর আবদুল আজিজ নামের ওই পরিচারকের লাশ লন্ডনের ল্যান্ডমার্ক হোটেলে যুবরাজ সৌদ আবদুল আজিজ বিন নাসের আল সৌদের কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়। তখন তার গালে কামড়ের পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।

৩২ বছর বয়সী ওই পরিচারক মৃত্যুর আগে ৩৪ বছর বয়সী যুবরাজ সৌদ আবদুল আজিজ বিন নাসের আল সৌদের সঙ্গী হিসেবে তিন বছর বিভিন্ন স্থান ঘুরেছেন।

যুবরাজ সৌদ আবদুল আজিজ বিন নাসের আল সৌদের বাবা সৌদি বাদশার ভাইয়ের ছেলে এবং তার মা বাদশার মেয়ে।

লেইড ল আদালতকে বলেন, নিহত পরিচারকের মুখে ও মাথায় প্রচণ্ড জোরে ঘুষি মারা হয়। আঘাতের কারণে তার বাঁ চোখ ফুলে বন্ধ হয়েছিলো। তার ঠোঁট ছিলো ক্ষতবিক্ষত এবং কয়েকটি দাঁতও ভেঙ্গে গিয়েছিলো।

তিনি জানান, পরিচারক তার কানেও আঘাত পান এবং ময়না তদন্তে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণও ধরা পড়ে। ওই পরিচারক এর আগেও এ ধরনের মারপিটের শিকার হন।

লেইড ল বলেন, ক্লোজ সার্কিট টিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, ২২ জানুয়ারি ও ৫ ফেব্র"য়ারি ওই পরিচারককে হোটেলের লিফটে মারধর করছেন সৌদি যুবরাজ।

"বিভিন্ন আলামতে এটাই নিশ্চিত হয় যে, যুবরাজ হয় সমকামী নয়তো তার ভেতরে সমকামী প্রবণতা রয়েছে।"

Posted by
Abraham Lingkon

More

আমি বড় হয়েছি একদল সমকামী এবং সেক্স মেনিয়াক লোকের ভিড়ে।

ঘটনা ১ - আমি তখন খুব ছোট - বয়স ৫/৬ হবে। আমাদের বাড়িতে এক হাফিজ হুজুর লজিং থাকতেন।আমাদের আরবি পড়াতেন। একবার আমাদের অনেক মেহমান আসার কারণে আমাকে হুজুরের সাথে রাতে উনার ঘরে ঘুমাতে হয়েছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার প্যান্ট ভিজা। আমি তা দেখে হুজুরকে জিজ্ঞেস করি - হুজুর এসব কি, আমার প্যান্ট ভিজা কেন? উনি বলেন এসব কিছু না, যাও জলদি গোসল করে আসো। আর কাউকে এসব নিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করোনা।

আমি সেদিন কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করিনি কিন্তু বোঝ হয়ার পর বুঝেছিলাম সেদিন কি হয়েছিল।

ঘটনা ২- আমার বাড়িতে এক কাজের লোক ছিল, আমাদের বাড়িতে কাজ করত। এবং বাড়ির বাহিরে একটা ঘর ছিল সেখানে থাকতো। এক বিকেলে সে আমাকে তার ঘরে ডেকে নেয়। আমাকে নতুন এক টাকার নোট দিয়ে তার ঘরে ঢুকিয়ে দরজা লাগিয়ে যা করার করে। আমি সেদিন কিছু বুঝিনি কিন্তু বোঝ হয়ার পর বুঝেছিলাম সেদিন কি হয়েছিল। তার নাম ছিল করম আলি।

ঘটনা ৩ - স্কুল থেকে আসার পথে এক লোক আমাকে ফুটবল খেলার জন্য আমায় ডাকে। আমি আবার ফুটবল খেলার জন্য পাগল ছিলাম। সে তার ঘরে নিয়ে আমায় নিয়ে আমাকে কাপড় খুলতে বলে। আমি রাজি হয়নি, কান্না শুরু করি। আমার কান্না দেখে সে আমায় ছেড়ে দেয়।


------------------
করম আলি এখন সৌদি থাকে আর হাফিজ হুজুর কই আছে সেটা জানিনা। তবে ইচ্ছে আছে তাদের একদিন খুজে বের করব এবং তাদের মেশিন কেটে গলায় ঝুলিয়ে দিব।

Posted by
Abraham Lingkon

More

Categories

Powered By Blogger
abrahamalingkon

Social Icons

Popular Posts

Followers

Featured Posts

asbl. Blogger দ্বারা পরিচালিত.

Copyright © / আসুন আমরা ইভটিজিং বন্ধ করি ।

Template by : Urang-kurai / powered by :ahb