Not-
Found
লাখ লাখ কণ্ঠে এক দাবি : নাস্তিক ব্লগারদের ফাঁসি চাই লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
লাখ লাখ কণ্ঠে এক দাবি : নাস্তিক ব্লগারদের ফাঁসি চাই লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

লাখ লাখ কণ্ঠে এক দাবি : নাস্তিক ব্লগারদের ফাঁসি চাই

‘ইসলাম অবমাননাকারী নাস্তিক ব্লগারদের ফাঁসির দাবিতে লাখ লাখ লোক ঢাকায় মহাসমাবেশে মিলিত হয়েছে’- এই মন্তব্য দিয়ে শুরু হয়েছে দ্য অস্ট্রেলিয়ান পত্রিকায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের লংমার্চের খবর। আল জাজিরা, বিবিসিসহ বিশ্বের প্রধান প্রধান সংবাদমাধ্যমে শনিবার অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে এই মহাসমাবেশের খবর প্রকাশ করে। আল জাজিরা টেলিভিশনে মহাসমাবেশের খবর সরাসরি প্রচার করে। বেশির ভাগ সংবাদমাধ্যমে মতিঝিল এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়।
আল জাজিরার অনলাইন সংস্করণে বলা হয়, লাখ লাখ লোক ইসলাম অবমাননাকারী ব্লগারদের মৃত্যুদণ্ডসহ ব্লাসফেমিবিরোধী আইন প্রবর্তনের দাবি করে।
এতে বলা হয়, একদল ব্লগার অত্যন্ত জনপ্রিয় ইসলামী দলগুলোর সমালোচনায় মুখর হওয়ার ফলে সৃষ্ট ক্ষোভ থেকে শনিবারের মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়।
লংমার্চ বাধাগ্রস্ত করার জন্য সেক্যুলারপন্থীরা দেশব্যাপী ২২ ঘণ্টার ধর্মঘট ডাক দেয়ার পর শুক্রবার বিকেল থেকেই ঢাকা কার্যত দেশের অবশিষ্ট অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
১৯৭১ সালের যুদ্ধ-সম্পর্কিত মামলায় জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের বিচার করা নিয়ে সেক্যুলার এবং ইসলামপন্থী বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে আসে।
গত ফেব্রুয়ারিতে আবদুল কাদির মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হলে একদল তরুণ তার মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে রাস্তায় নামে। এর প্রতিক্রিয়ায় দেশটির ধর্মীয় দলগুলো প্রতিবাদে নামে।
নিরাপত্তাগত কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আল জাজিরার সংবাদদাতা ঢাকা থেকে বলেন, শাপলা চত্বরে বিপুলসংখ্যক লোকের সমাগম ঘটেছে। তিনি জানান, বিক্ষোভ হচ্ছে শান্তিপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভ মোকাবিলায় দিন দিন অভিজ্ঞ হয়ে উঠছে।… ঠিক এখন তাদের সংযত রাখার চেষ্টা করছে এবং বিক্ষোভ যাতে সহিংস না হয়ে উঠে তা নিশ্চিত করতে চাইছে।’
ঢাকা ট্রিবিউন পত্রিকার সম্পাদক জাফর সোবহান ঢাকা থেকে স্কাইপের মাধ্যমে আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, সরকার ‘নিরপেক্ষ অবস্থান’ বজায় রেখে ‘বিস্ফোরণমুখ’ পরিস্থিতি মোকাবিলার ‘প্রাণান্তকর চেষ্টা’ চালাচ্ছে। সরকার ব্লাসফেমি আইন প্রবর্তন করবে বলে তিনি করেন না।
তিনি বলেন, লংমার্চ আসলে ব্লাসফেমি আইনের ব্যাপারে কঠোর নয়। তারা বরং যুদ্ধাপরাধ আইনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলের নেতাদের মৃত্যুদণ্ডের যে আহ্বান জানানো হয়েছে, সেটার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে।
তিনি বলেন, কেউ যদি রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের মৃত্যুদণ্ড দাবি করে, তবে তারাও ওই লোকদের মৃত্যুদণ্ড দাবি করবে এটাই স্বাভাবিক।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসলাম অবমাননাকারী ব্লগারদের দমনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঢাকায় ইসলামপন্থী গ্রুপগুলো মহাবেশ করছে।
এতে সারা দেশ থেকে হাজার হাজার লোকের লংমার্চে অংশগ্রহণের কথা বলা হয়। ধর্মঘট আহ্বান করিয়ে বাস ও নৌ চলাচল বন্ধ রাখার কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অংশগ্রহণকারীরা ইসলাম এবং মহানবী সা.-এর অবমাননাকারীদের মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে নতুন ব্লাসফেমি আইন প্রণয়নের আহ্বান জানায়।
হেফাজতে ইসলাম নামের গ্রুপটি ‘নাস্তিক ব্লগারদের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় সরকারের সমালোচনা করছে।
দ্য অস্ট্রেলিয়ান পত্রিকায় বলা হয়, ইসলাম অবমাননাকারী নাস্তিক ব্লগারদের ফাঁসির দাবিতে লাখ লাখ লোক ঢাকায় মহাসমাবেশে মিলিত হয়েছে। তারা ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দেয় এবং নাস্তিক ব্লাগারদের ফাঁসির দাবি জানায়। বিপুল লোকের উপস্থিতিতে ঢাকার মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা সাদা পোশাকের সমুদ্রে পরিণত হয়।
পত্রিকাটি জানায়, পুলিশ বলেছে মহাসমাবেশে প্রায় এক লাখ লোক অংশ নিয়েছে। তবে মহাসমাবেশের আয়োজনকারীরা সংখ্যাটি পাঁচ লক্ষাধিক বলে জানিয়েছেন।
হেঁটে ২০ কিলোমিটার দূর থেকে মহাসমাবেশে যোগ দেয়া এক মসজিদের ইমাম বলেন, ‘আমি এখানে এসেছি ইসলামের জন্য যুদ্ধ করতে। আমরা কোনো ব্লগারকে আমাদের ধর্ম এবং আমাদের প্রাণপ্রিয় নবী মোহাম্মদ সা.কে অপমান করতে দেব না।’
বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, শনিবার সকালেই সারা বাংলাদেশ থেকে আসা লাখ লাখ তারা ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দেয় এবং নাস্তিক ব্লাগারদের ফাঁসির দাবি জানায়। তারা ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দেয় এবং নাস্তিক ব্লাগারদের ফাঁসির দাবি জানায়। লোকের উপস্থিতিতে ঢাকার বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিল জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
প্রতিবন্ধকতা এবং হরতাল প্রত্যাখ্যান করে হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে ইসলামপন্থীরা মিছিলের পর মিছিল নিয়ে মতিঝিলে মহাসমাবেশের স্থানে আসতে থঅকে।
সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ থেকে শাহবাগ আন্দোলনের নাস্তিক ও ইসলাম অপমানকারী ব্লগারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হতে থাকে।
দৃশ্যত যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার জন্য শাহবাগ আন্দোলন থেকে যে দাবি জানানো হয়েছে, তার বিরুদ্ধেই এই মহাসমাবেশ।
বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে শুক্রবার সকাল থেকেই সারা দেশ থেকে রাজধানীর বিচ্ছিন্ন হওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়। দূরপাল্লার বাসগুলো শুক্রবার এবং শনিবার চলাচল করেনি।
বার্তা সংস্থা এপি ও ফক্সনিউজ জানায়, হেফাজতে ইসলামীর সদস্যরা নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তি দাবি করছে।
ডায়েসে ভেল শাপলা চত্বরে লাখ লাখ লোক সমবেত হওয়ার খবর প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, অনেকে আশঙ্কা করছেন, পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটতে পারে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যে এখন মারাত্মক চাপের মুখে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে সামান্যই। ইসলাম ও নবী সা. নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে কটূ মন্তব্য করার অভিযোগে মঙ্গলবার তিন ব্লগারকে গ্রেফতারের ঘটনায় সেটা পরিষ্কারভাবে দৃষ্টিগোচর হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগে সরকর যেখানে ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট আন্দোলনের প্রতি প্রকাশ্যে উৎফুল্ল সমর্থন জানিয়েছিল, তারাই এখন ভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করেছে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলামীসহ বিভিন্ন সংগঠনের অব্যাহত বিক্ষোভের মুখে সরকার তিন ব্লগারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে সুস্পষ্টভাবে পশ্চাদপসরণ করেছে।

Posted by
Abraham Lingkon

More

Categories

Powered By Blogger
abrahamalingkon

Social Icons

Popular Posts

Followers

Featured Posts

asbl. Blogger দ্বারা পরিচালিত.

Copyright © / আসুন আমরা ইভটিজিং বন্ধ করি ।

Template by : Urang-kurai / powered by :ahb