সাম ইন - এ নাস্তিকদের যে সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী রয়েছে তাদের মতের বিরুদ্ধে আমি আজ
থেকে প্রতিদিন আপনাদের একটি মূল্যবান বইয়ের পুরো অংশ তুলে ধরতে চেষ্টা
করবো ধীরে ধীরে।
বইয়ের নাম : স্টিফেন হকিং, নাস্তিকতা ও ইসলাম
লেখক : মুহাম্মাদ সিদ্দিক
প্রকাশকাল : আক্টোবর, ২০০০ ইং
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ২৭৬
হকিং-এর "সংক্ষিপ্ত সময়ের ইতিহাস"
ডঃ স্টিফেন ডব্লিউ হকিং আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞানীদের ভিতর একজন সেরা
বিজ্ঞানী। তিনি শারীরিক দিক দিয়ে পঙ্গু। হুইল চেয়ারে চলাফেরা করেন। তবু
শারীরিক পঙ্গুত্বকে হার মানিয়ে তিনি পড়াশুনা, গবেষণা চালিয়ে যান, পিএইচডি
ডিগ্রী গ্রহণ করেন ও শেষতক ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্ক শাস্ত্রে
লুকাসিয়ান অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্তি পান। এই পদে এক সময় স্যার আইজ্যাক নিউটন
(বিশ্বের আরেক সেরা পদার্থবিজ্ঞানী) ছিলেন। অনেক বিশেষজ্ঞ হকিংকে
আইনস্টাইনের পর একজন সেরা পদার্থবিজ্ঞানী বলে মনে করেন।
হকিং-এর একটি বই " এ ব্রিফ হিস্ট্রি আব্ টাইম" (সময়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস)।
প্রায় দুশো পৃষ্ঠার এ বইটি মূলত অপদার্থবিদদরে জন্য লেখা পদার্থবিজ্ঞান
সম্পর্কে একটি বই। তবু পদার্থবিজ্ঞান সম্পর্কে নতুন নতুন কথা রয়েছে ছোট্ট
বইটিতে। সহজ করে বলার চেষ্টা করেছেন পণ্ডিত হকিং তার পাণ্ডিত্যের কথা। ১৯৮৮
সালে বইটি বাজারে আসে ও (বেস্ট সেলার)- সেরা বিক্রয়ের প্রশংসা হাসিল করে।
আমাদের এই বইটিতে আগ্রহের কারণ হলো পদার্থবিজ্ঞানের নবতর গবেষণার আলোকে
ইসলামকে পরখ করে দেখা আর দ্বিতীয়ত ডঃ হকিং কর্তৃক স্রষ্টা ও ধর্ম সম্পর্কে
কতিপয় মন্তব্যও পরখ করা। সাধারণত বলা হয় যে, বিজ্ঞানের নবতর গবেষণা ও
আবিষ্কার ধর্মকে কোণঠাসা করেছে। এ ধারণা অন্যান্য ধর্ম সম্পর্কে কিছুটা
সঠিক হলেও, ইসরাম ধর্ম সম্পর্কে এটি আরোপ করা অবৈজ্ঞানিকসুলভ হবে।
ফ্রান্সের চিকিৎসা বিজ্ঞানী মরিস বুকাইলি কোরআন মজীদ নিয়ে গবেষণা করে তাঁর
বিখ্যাত "দি বাইবেল দি কুরআন এন্ড সাইন্স" গ্রন্থে মন্তব্য করেছেন যে,
কুরআনে কোনো রকম অবৈজ্ঞানিক তথ্য বা অসামঞ্জস্যতা নেই।
হকিং-এর বইটির ভূমিকাতে কার্ল সাগা (কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইথাকা,
নিউইয়র্ক) লিখেছেন : This is also a good book about god... or perhaps
about the absence of god. The word god fills these pages. Hawking
embarks on a quest to answer Einstein’s famous question about whether
god had any choice in creating the universe. Hawking is attempting, as
he explicitly states, tounderstand the mind of god and this makes all
the more unexpected the conclusion of the effort, at least so far, a
universe with no edge in space, no beginning or end in time and nothing
for a creator to do.
(ভাবানুবাদ : এটা ঈশ্বর সম্পর্কে একটা বই অথবা ঈশ্বর না থাকা সম্পর্কেও।
ঈশ্বর শব্দটি এই বইয়ের পাতায় পূর্ণ। বিশ্ব সৃষ্টিতে ঈশ্বরের কোন পছন্দ ছিলো
কি না- বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের এই বিখ্যাত প্রশ্নের জবাবের জন্য হকিং
প্রচেষ্টা নেন। হকিং স্পষ্ট করে বলেছেন যে, তিনি ঈশ্বরের মনকে বোঝার চেষ্টা
করেছেন। এ পর্যন্ত তিনি যে প্রচেষ্টা নিয়েছেন তার ফলাফল অপ্রত্যাশিত। হকিং
চেয়েছেন এমন একটা মহাবিশ্ব, যার নেই কোনো কিনারা মহাশূন্যে, কোনো শুরু
নেই, কোনো শেষ নেই এবং স্রষ্টার করার কিছু নেই।)
হকিং-এর উপর মন্তব্য করতে গিয়ে কার্ল সাগা যা বলেছেন, তাতে ঈশ্বরের যে
পরিচয় ফুটে উঠে, বিশ্ব সৃষ্টিতে সেই ঈশ্বরের যেন কোন ইচ্ছা, পছন্দ-অপছন্দ,
আগ্রহ ছিলো না, এমনকি তার করারও কিছু ছিলো না। তাহলে ধরে নিতে হয় বিশ্ব
সৃষ্টিতে আর একটি শক্তি- যা ঈশ্বর অপেক্ষা শক্তিশালী- কাজ করেছে। তাই
ঈশ্বরের করার কিছু ছিলো না। আর বিশ্বটাও এমনি যে, এর কোন শুরু নেই, শেষ
নেই, কিনারা নেই। হকিং-এর মন্তব্যের অর্থ হলো যার শুরুই নেই, তার সৃষ্টিতে
আর ঈশ্বরের প্রয়োজন কি?
আসলে হকিং ও কার্ল সাগা বিজ্ঞান চর্চা করতে গিয়ে বিজ্ঞানের বাইরের বিষয়গুলি
নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে সব তালগোল পাকিয়ে ফেলেছেন। ঈশ্বর আছেন কি না, তা
কি পদার্থ বিজ্ঞানীর গবেষণার ওপর নির্ভরশীল ? শুধু পদার্থ বিজ্ঞানের
দৃষ্টিতে কি ঈশ্বরকে দেখতে হবে ? মানুষের আর সব জ্ঞানকে কি তবে সমুদ্রে
বিসর্জন দিতে হবে ? হকিং তার বইয়ের শেষ দিকে উপসংহার অংশে দার্শনিকদের
ব্যঙ্গ করেছেন। আসলে যে যে লাইনের পণ্ডিত তারটা ছাড়া অন্যেরটা তার তেমন
পছন্দের হয় না। তারা মনে করেন যে, সব কিছু তাদের বিষয়ের আলোকে ব্যাখ্যা
দেওয়া যাবে বা তাদের বিষয়েই নির্ভরশীল। কিন্তু ব্যাপারটি এত সহজ কি ?
হকিং মন্তব্য করেছেন যে, দার্শনিকগণ বিজ্ঞানের বিভিন্ন থিওরির (মতবাদ)
উন্নতির সাথে তাল মিলাতে পারেননি। অষ্টাদশ শতাব্দীতে দার্শনিকগণ বিজ্ঞানসহ
সমগ্র জ্ঞানকে তাদের বিষয়বস্তু মনে করতেন এবং তারা আলোচনা করতেন বিশ্বের কি
শুরু ছিলো ?তারপর বিজ্ঞান বেশী টেকনিক্যাল ও গাণিতিক হওয়ায় দার্শনিকদের
শুধু ভাষার বিশ্লেষণ ছাড়া আর কিছু করার থাকে নি। হকিং-এর এসব কথা অনুযায়ী
যেহেতু দার্শনিকগণ বিশ্ব ও ঈশ্বর সম্পর্কে চূড়ান্ত কিছু দিতে পারেননি তাই
দর্শন এখন আর কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। এখন যদি বিজ্ঞানীরা সমস্ত
বৈজ্ঞানিক থিওরি কে একটি থিওরিতে আনতে পারেন, তাহলে ঈশ্বরের মনকে জানা
যাবে। বিজ্ঞানীরা বিশ্ব সম্পর্কে একটি সাধারণ একক থিওরি আবিষ্কারের
প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন এবং তারা নাকি খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন !
শুধু পদার্থ বিজ্ঞানের চোখ দিয়ে সমগ্র বিশ্ব ও জ্ঞানকে যাচাই করে, দর্শনকে
অবজ্ঞা করে এবং সাধারণ একক বৈজ্ঞানিক থিওরি আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের
তথাকথিত অসহায়ত্ব প্রকাশ করে জ্ঞান-বিজ্ঞান কি সত্যের কাছাকছি পৌঁছতে পারবে
? যদি বিজ্হান প্রতিপন্ন করে যে, বিশ্বের শুর, শেষ ও কিনারা নেই, আর একটি
মাত্র একক সাধারণ বৈজ্ঞানিক থিওরি সব কিছুর জন্য দায়ী তাতে ঈশ্বরের
অসহায়ত্বটা কোথায় ? বিরাটতম ঈশ্বর কি বিরাট বিশ্বকে নিজস্ব পছন্দে সৃষ্টি
করতে অক্ষম ? এই বিরাট বিশ্ব সৃষ্টিতে তাঁর কি কোন কাজই ছিল না ? না, তিনি
না চাইতেই বিশ্ব সৃষ্টি হয়ে গেল ? হকিং-এর ধারণা অনুযায়ী এসব মেনে নিলে
ঈশ্বর সম্পর্কে হিন্দু বা বিকৃত খৃস্টধর্ম সম্পর্কীয় ঈশ্বর ধারণাকে মেনে
নিতে হয়। ইসলামের ঈশ্বর অর্থাৎ আল্লাহ সম্পর্কীয় ধারণা এ সবের উর্ধ্বে।
বিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে- আর আল্লাহ তাঁর পরিকল্পনায় ছিলেন না বা তার করার কিছু
ছিল না এতে- কতিপয় পদার্থ বিজ্ঞানীর এই ধরণের বিভ্রান্ত মতামত মানুষকে সত্য
থেকে দূরে নিয়ে যাবে (নাস্তিক আরিফুর রহমান ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের দৃষ্টি
আকর্ষণ করছি !- হিমু রুদ্র)। এককালে দার্শনিকগণ বিজ্ঞান নিয়ে অনেক
চিন্তা-ভাবনা করতেন। এই চিন্তা ভাবনার ফলে বিজ্ঞানের অনেক উন্নতি হয়েছে।
তবে আজকাল বৈজ্ঞানিকগণ তাদের গণ্ডিভুক্ত জ্ঞান দিয়ে দার্শনিক প্রসঙ্গগুলোকে
দেখছেন। সেই সঙ্গ ঈশ্বর সম্পর্কে আজগুবি তত্ত্ব দিচ্ছেন। এতে সত্য
প্রকাশিত না হয়ে বিভ্রান্তিই সৃষ্টি করবে।
আর একটি কথা। পদার্থ বিজ্ঞানী হকিং মনে করেন যে, বর্তমানে বিজ্ঞান বেশি
টেকনিক্যাল ও গাণিতিক হবার ফলে দার্শনিকগণ বিজ্ঞানে আর নাক গলাবার মওকা
পাচ্ছেন না। জ্ঞান-বিজ্ঞানের একটি শ্রেষ্ঠ শাখা দর্শনকে এভাবে ব্যঙ্গ করা
তার মতো বিজ্ঞানীর উচিতহয়নি। দর্শন যদি পরিত্যাজ্যই হবে, তবে কেন তিনি
পিএইচডি ডিগ্রির জন্য লালায়িত ছিলেন। পিএইচডি হলো ডক্টরেট অব ফিলোসফি।
পদার্থবিদ্যার ছাত্র হয়েও তাকে নিতে হয়েছে দর্শনের "তকমা"। এ সব কথার
দ্বারা আমি দর্শনকে উচ্চে তুলতে চাই না। আমি বলতে চাই না যে, দর্শনই
শ্রেষ্ঠ। আমি এটাও বলবো না যে, পদার্থ বিজ্ঞানই শ্রেষ্ঠ। আসলে জ্ঞান এক
অবিভাজ্য অভিজ্ঞতা। এ এক বিশাল বৃক্ষ। এর শিকড় গভীরে প্রোথিত,ডালপালা
ঊর্ধ্বে বিস্তৃত। পদার্থ বিজ্ঞান ও দর্শন বিজ্ঞান ছাড়াও জ্ঞানের অনেক
ডাল-পালা রয়েছে, নানা শাখা-প্রশাখা রয়েছে। সবই জ্ঞানরূপ বৃক্ষের অংশ।
কোরআন মজীদ বলে : " সৎ বাক্যের তুলনা উৎকৃষ্ট বৃক্ষ যার মূল সুদৃড় ও যার
শাখা-প্রশাখা ঊর্ধ্বে বিস্তৃত, যা প্রত্যেকে মওসুমে তার ফলদান করে তার
প্রতিপালকের অনুমতি ক্রমে।.... কু বাক্যের তুলনা এক মন্দ বৃক্ষ যার মূল
ভূ-পৃষ্ঠ হতে বিচ্ছিন্ন, যার কোন স্থায়িত্ব নেই।"
------------------------------------ (১৪ সূরা ইব্রাহীম : আয়াত ২৪-২৬)
ডঃ হকিং পদার্থ বিজ্ঞানে জ্ঞানী হতে পারেন। তবে কি তিনি এনাটমি, জিওলজি
ইত্যাদিতে এইকইভাবে পণ্ডিত বলে গর্ব করতে পারেন ? এগুলোও বিজ্হানের অংশ।
তবু সব বিজ্ঞানী সব অংশ সম্পর্কে একই পর্যায়ের পণ্ডিত নন। বিজ্ঞানের শাখা
প্রশাখাতেই যদি এমন হজয়, তাহলে বিজ্ঞানের বাইরে জ্ঞানের যে শাখা প্রশাখা
আছে, তা সম্পর্কে একজন বিজ্ঞানী কি সম-জ্ঞানের অধিকারী ? না, নন। কাজেই
একজন পদার্থবিদের চোখ দিয়ে দেখা ঈশ্বর সম্পর্কে বিভ্রান্তকারী মনোভাব
কিভাবে গ্রহণ করা যায় ? এতা কুবাক্য অনুরূপ। এ বাক্যের কোন স্থায়িত্ব নেই,
এর মূল ভূ-পৃষ্ঠ থেকে বিচ্ছিন্ন।
বিশ্ব সম্পর্কে একটি একক থিওরি আবিষ্কার হলে ঈশ্বর কোণঠাসা হয়ে যাবেন বা
তার ক্ষমতা সীমিত হবে বা তার করার কিছু থাকবে না আর মানুষ (বিশেষ করে একজন
সেরা পদার্থবিদ) হবে চূড়ান্ত সত্য- এটা কিভাবে চিন্তা করা যায় ? একীভূত,
একক বৈজ্ঞানিক থিওরি তো পক্ষান্তরে একত্ববাদেরই জয়গান গাইবে। সব কিছুর মূলে
যে ঈশ্বর- তখনতো তাই প্রমাণিত হবে। বিভিন্ন থিওরি থাকলে কেউ কেউ বলতে
পারতেন যে, নানা ঈশ্বর নানা থিওরি সৃষ্টি করেছেন। যখন থিওরি একটাই হবে, তখন
এক ঈশ্বর যে এর স্রষ্টা- এটা বলাই স্বাভাবিক হবে। কাজেই একক বৈজ্ঞানিক
থিওরি ঈশ্বরের ক্ষমতা বা অবস্থানের ক্ষতি করবে না। পদার্থবিদ হকিং
পদার্থবিদ্যা ছেড়ে দর্শন বা ধর্মতত্ত্বের ঘরে হানা দিয়ে ঈশ্বরকে ক্ষমতাহীন
করার ব্যর্থ কসরত করছেন !
কোরআন মাজীদ বলে : "আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে এক
নিদর্শন : তাঁরই আদেশে আকাশ ও পৃথিবীর স্থিতি। তারপর আল্লাহ যখন তোমাদের
মাটি থেকে ওঠার জন্য ডাকবেন, তখন তোমরা উঠে আসবে। আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু
আছে, তা তাঁরই। সকলেই তার হুকুম মানে। আর তিনিই অস্তিত্বে আনয়ন করেন, তারপর
তিনি আবার একে সৃষ্টি করবেন- এ তাঁর জন্য সহজ। আকাশ ও পৃথিবীতে সর্বোচ্চ
মর্যাদা তাঁরই। আর তিনিই শক্তিমান তত্ত্বজ্ঞানী।"
--------------------------------------------(১০ সূরা রূম : আয়াত ২৫-২৭)
"তুমি কি দেখনা যে, আল্লাহকে সিজদা করে যা কিছু আছে আকাশে ও পৃথিবীতে,
সূর্য, চন্দ্র, নক্ষত্রমন্ডলী, পর্বতরাজি, বৃক্ষলতা, জীবজন্তু, আর সিজদা
করে মানুষের মধ্যে অনেকে ? আবার অনেকের জন্য শাস্তি অবধারিত হয়েছে।"
------------------------------------------------(২২ সূরা হজ্জ : আয়াত ১৮)
"সাত আকাশ ও পৃথিবী আর তাদের মধ্যকার সবকিছুই তাঁর পবিত্র মহিমা ঘোষণা করে
আর এমন কিছু নেই যা তাঁর পবিত্র মহিমা ঘোষণা করে না। অবশ্য ওদের পবিত্র
মহিমা ঘোষণা তোমরা অনুধাবন করতে পার না।"
--------------------------------------------------(১৭ সূরা বনী ইসরাঈল : আয়াত ৪৪)
উপরোক্ত বক্তব্য থেকে বুঝা যাচ্ছে আকাশ ও পৃথিবীর সবকিছু আল্লাহকে মানছে।
আল্লাহর আদেশেই চলছে সর্বত্র। আকাশ ও পৃথিবীর স্থিতি তাঁরই আদেশে
নির্ভরশীল। শুধু মানুষের কিছু সংখ্যক তাঁকে মানছে না। কিন্তু বস্তুজগত
(অর্থাৎ পদার্থবিদদের বিশ্ব) আল্লাহকে মানছে। তাই যদি হয়, তাহলে তার আদেশ
তো একটাই হবে। তাই একক, একীভূত বিশ্ব থিওরি আবিষ্কৃত হলে আল্লাহর অসুবিধাটা
কোথায় ?হকিং-এর মত কিছু পদার্থবিজ্ঞানী তাঁকে পুরাপুরি না মানলেও আল্লাহর
কর্মপদ্ধতি পরিবর্তিত হবে না। তিনি আগে যা করেছেন, এখনও তাই করতে সক্ষম।
সৃষ্টি সম্পর্কে ঈশ্বরের কোন পরিকল্পনা ছিল কি-না, এব্যাপারে তাঁর কোন
ইচ্ছা ছিলো কি-না, তিনি এ ব্যাপারে নির্লিপ্ত ছিলেন কি-না, তাঁর কিছু করার
ছিলো কি-না, তাঁর ক্ষমতা সৃষ্টিতে সীমিত ছিলো কি না, তাঁর এখন করার কিছু
আছে কি না, দর্শন বা ধর্মতত্ত্বের এসব প্রশ্নের উত্তর শুধু পদার্থবিদ্যা
দিয়ে প্রদান করা ঠিক হবে না। ফিজিক্স-এর বাইরে রয়েছে "মেটা ফিজিক্স"।
কোনোটাকে খাটো করা যায় না। "ফিজিক্স" যেখানে শেষ... "মেটাফিজিক্স" সেখানে
শুরু। বিজ্ঞান যেখানে যেতে পারে না, দর্শন সেখানে বিচরণে সক্ষম।ধর্মতত্ত্ব
সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে ও দর্শনকে ঠিক রাস্তায় নিতে পারে। ইসলামী
ধর্মতত্ত্ব দর্শনকে ঠিক পথে চালাতে সক্ষম।
---------------------------------------(মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত চলবে)
স্টিফেন হকিং, নাস্তিকতা ও ইসলাম : নাস্তিক/আস্তিক সব ব্লগারদের জন্যে
Categories
- আপনাকে বলছি (1)
- আপনি নাস্তিক বলার কে (1)
- আমি একজন নাস্তিক (1)
- আস্তিক নাস্তিক (ধর্ম ) ইস্যু নিয়ে রাজনীতি (1)
- ইবরাহিমের মৃত্যুর জন্যও জামাত দায়ী (1)
- ইভ টিজ (1)
- ইসলাম কি? (1)
- কিভাবে সব কিছু মনে রাখবেন (1)
- জামাত এত শক্তি কোথায় পেল (1)
- জামাত ও শিবিরের সম্পর্ক কী? (1)
- জামাত শিবির (1)
- জামাত শিবিরের (1)
- জামাত- শিবির কি আস্তিক- নাস্তিক (1)
- জামাত-শিবিরের সকল পণ্য (1)
- ডোলেঞ্চারের পর প্রতারনার নতুন ফাদ (1)
- তারা নাস্তিক (1)
- ধর্মদ্রোহের মৃত্যুদণ্ডের আইন (1)
- নাস্তিক মুরতাদ ইসলামবিরোধীদের ঠাঁই নেই (1)
- নাস্তিক মুরতাদদের সাথে বন্ধুত্ব ত্যাগ করুন (1)
- নাস্তিক’ ব্লগারদের তওবার দাবিতে সায় কমিটির (1)
- নাস্তিকতা (1)
- নাস্তিক্যবাদবিরোধী (1)
- পুরুষ নির্যাতন (1)
- পৃথিবীর প্রথম নাস্তিক দেশটি কেমন ছিল? (1)
- ব্লগারদের বিরুদ্ধে তথ্য আইনের ব্যবহার হবে (1)
- লাখ লাখ কণ্ঠে এক দাবি : নাস্তিক ব্লগারদের ফাঁসি চাই (1)
- সমকামিতার (1)
- সমকামিতার সপক্ষে কিছু যুক্তি (1)
- সমকামী (9)
- সমকামী মাদ্রাসার শিক্ষকদেরও বিচারের (1)
- সমাধান না পেয়ে আমি আস্তিক (1)
- সম্মানিত নাস্তিক ভাইদের বলছি (1)
- স্টিফেন হকিং (1)
abrahamalingkon
Social Icons
Popular Posts
-
ধর্মে অবমাননা এবং ইসলাম ধর্ম নিয়ে বিতর্কিত কথা প্রচারের অভিযোগে তিন নাস্তিক ব্লগারকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ...
-
আজকাল লিনাক্স ব্যবহার করাটা সম্মানের বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। উইনডোজের পাশে লিনাক্স চালাই না বললে টেকি দুনিয়ায় মান সম্মান থাকেনা। লিনাক্স ...
-
যুক্তরাষ্ট্রের ষষ্ট অঙ্গরাজ্য হিসেবে সমকামীদের মধ্যে বিয়ের বৈধতা দিলো নিউ ইয়র্ক। গভর্নর অ্যান্ড্রু সিউমো শুক্রবার এ সংক্রান্ত একটি বিলে সই ...
-
সাংসদ শাওন স্বীকার করেছেন তার পিস্তলের গুলিতেই নিহত হয়েছে ইবরাহিম। ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মৃত্যুতে স্তব্ধ হ্যে গিয়েছেন বলে তার জানাজাতেও আসতে পারেন ...
-
আমি দুটো সফটওয়্যার ডেভেলমেন্টের প্রজেক্ট ম্যানেজার ছিলাম। একটা ছিলো দুবাই ভিত্তিক কোম্পানী, আরেকটা দেশী। সবচেয়ে মজার কথা কি জানেন? কোনো মুরগ...
-
মানুষের দূর্বলতাকে পুঁজি করে এক শ্রেণীর মানুষ বরাবরই সাধারন মানুষদের ধোকা দিয়ে যাচ্ছে। প্রত্যেকটা মানুষই টাকা উপার্জনের উপায় খুজে বেড়ায় আর ...
-
নিকেতন থেকে বের হয়ে মুল রাস্তায় আসলাম ট্যাক্সি কিংবা অটোরিক্সার খোজে। সন্ধ্যে সাতটা বাজেনি তখনো। কর্পোরেট অফিসগুলোতে ছুটি হচ্ছে-এখন ভাড়ায় গ...
-
বাংলাদেশের গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, লেখালেখির মাধ্যমে 'ইসলামসহ অন্যান্য ধর্মের প্রবর্তকদের বিতর্কিতভাবে উপস্থাপন' করার অভিযোগে তারা ব্ল...
-
আমাকে একটা কাজ দাও। আমাকে একটা চাকরী দাও। অনেক রিকোয়েস্ট করার পরও কেউ কোন পার্ট টাইম জব দিতে পারেনি। শেষ মেস আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে ডে...
-
‘ইসলাম অবমাননাকারী নাস্তিক ব্লগারদের ফাঁসির দাবিতে লাখ লাখ লোক ঢাকায় মহাসমাবেশে মিলিত হয়েছে’- এই মন্তব্য দিয়ে শুরু হয়েছে দ্য অস্ট্রেলিয...
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন