সমকামী মাদ্রাসার শিক্ষকদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে

প্রায় ৫ বছর পুর্বে পাকিস্তানের জনৈক মন্ত্রী এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন – সেদেশের মাদ্রাসা গুলোতে প্রতি বছর প্রায় ২ হাজারের মতো সমকামী ঘটনা ঘটছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। পত্রিকায় প্রায়ই দেখা যায়, মসজিদের ইমাম ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের কাছে শিশু-কিশোররা ধর্মীয় শিক্ষা নিতে গিয়ে যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে । আমার বিশ্বাস, সমগ্র দেশে জরিপ করা হলে এদেশেও প্রতিবছর ২/৩ হাজারের মতো সমকামীর ঘটনা পাওয়া যাবে। কোন জায়গায় এজাতীয় ঘটনা ঘটলে এলাকার লোকজন সংশ্লিষ্ট অপরাধীকে সামান্য শাস্তি দিয়ে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয় বটে; কিন্তু ওই ব্যক্তি অন্যত্র গির্য়ে যে একই অপকর্ম করছে না, এর নিশ্চয়তা কোথায় ! হেফাজতে ইসলাম কর্তৃক উথ্বাপিত ১৩ দফার দাবির মধ্যে চার ও পাঁচ নম্বর দাবিতে বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, নারী নীতি বাতিলের দাবী রয়েছে। কিন্তু কোথাও সমকামীর বিরুদ্ধে কিছু বলা হয়নি। কয়েকটি পশ্চিমা দেশে সমকামীতাকে আইনি বৈধতা দিলেও ইসলামী আইনে এটি জঘন্য অপরাধ হিসাবে স্বীকৃত। পবিত্র কোরআনে এই অপকর্মের কারণে লুত জাতি ধবংস হয়ে যাওয়ার কথা বলা আছে। শরিয়া আইনে এই অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। সরকারের উচিত হবে শুধু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুলোতেই নয়, অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও যেন এ অপরাধ না হয়, সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া । সেজন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে একক স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অধীনে নিয়ে আসা । সুত্র: মোশাররফ হোসেন মুসা- স্হানীয় সরকার বিষয়ক লেখক।

Posted by
Abraham Lingkon

More

জেনে নিন সমকামিতার ভয়ন্কর কয়েকটি খারাপ প্রভাব (সব বয়সীদের অবশ্য পাঠ্য)

সমকামিতা ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, সামাজিকভাবেও গ্রহণযোগ্য নয়, ধর্মীয়ভাবে ইসলাম ধর্মেও গ্রহণযোগ্য নয়, চিকিত্সা বিজ্ঞানেও গ্রহণযোগ্য নয় ।

এবং এই সমকামিতা সেক্সুয়ালিটির দিক medical science যা আছে -

"....সমকামিতার প্রায় ৯০% সম্পর্ক অ্যানাল সেক্সের সাথে সম্পর্কিত । মলাশয়কে যৌনসঙ্গমের জন্য ব্যাপার করা হলে বিভিন্ন ভাইরাসের জন্য তা পোয়াবারো, কেননা লিঙ্গ সহজেই মলাশয়গাত্র ( রেকটাল ওয়াল) ভেদ করে সেটিতে ক্ষত সৃষ্টি করে এবং সেই ক্ষত দিয়ে বীর্য সহজেই ব্লাডস্ট্রিমে ঢুকে পড়ে..শারীরিক ক্ষতিসাধনে সমকামী পুরুষদের যৌনসঙ্গমের প্রকৃতি চরমভাবে দায়ী । কেননা এই যৌনাচারণ শুধু সক্রিয়/পরোক্ষ নয়, পেনাইল –অ্যানাল, মাউথ-পেনাইল, হ্যান্ড –অ্যানাল এমনকি মাউথ-অ্যানাল সম্পর্ক খুবই স্বাভাবিক। মাউথ-অ্যানাল সম্পর্ক আন্ত্রিক জীবাণুর মাধ্যমে রোগ সৃষ্টি করতে খুবই সহায়ক । মলাশয়ে ক্ষত থেকে শরীরের ভেতরে জীবাণু প্রবেশ করে, এবং অ্যানো –জেনিটাল সিফিলিটিক আলসারের সৃষ্টি হয় । সূত্রঃ R. R. Wilcox, “Sexual Behaviour and Sexually Transmitted Disease Patterns in Male Homosexuals,” British Journal of Venereal Diseases, 57(3): 167-169, 167 (1981). ক্ষত যে শুধু লিঙ্গের প্রবেশের মাধ্যমেই হবে তা নয়, সেটি ডিলডো/পেনাইল এডোর্নমেন্ট/প্রোস্থেসেসের মাধ্যমে হতে পারে এবং বিষমকামী ব্যক্তিরা এসব ব্যবহার করলেও সমকামী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এসব ব্যবহারের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি । সূত্রঃ Robert T. Michael, et al., Sex in America: a Definitive Survey, pp. 140-141, Table 11, Boston: Little, Brown, and Co., 1994; Rotello, pp. 75-76. অ্যানো-জেনিটাল সম্পর্ক সমকামী ব্যক্তিদের সমকামী সম্পর্কের প্রধান রুট অ্যানো-জেনিটাল রুট, একে বলা হয় sine qua non of sex for many gay men অর্থাৎ এটি সমকামী সম্পর্কে অপরিহার্য । হিউম্যান ফিজিওলজী থেকে এটি স্পষ্ট যে, মানবদেহ এই সম্পর্কের জন্য তৈরি বা পরিকল্পিত নয় । অ্যানো-জেনিটাল যৌনসঙ্গমের কারণে ফিকাল ম্যাটেরিয়ালের নিঃসরণও ক্রমাগত বা ক্রনিক আকার ধারণ করে । অরডিনারী রিপ্রোডাক্টিভ ফিজিওলজি থেকে জানা যায়, সিমেন বা বীর্যরস ইমিউনোসাপ্রেসিভ বা দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে নিরুদ্ধ বা নিগৃহীত করে, অ্যানাল রুট একেই অত্যন্ত নাজুক এবং জীবাণুর ডিপো, সেখানে ইমিউন সিস্টেম যোনীর সিস্টেমের তুলনায় এমনিতেই অনেক দুর্বল থাকে, সেই দুর্বল সিস্টেমে যদি বীর্যরসের মাধ্যমে তাকে আরো দুর্বল করে দেওয়া হয়, তাহলে জীবাণু বিনা প্রতিরোধে শরীরে প্রবেশ করে অতি সহজেই বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করবে । সূত্রঃ S. S. Witkin and J. Sonnabend, “Immune Responses to Spermatozoa in Homosexual Men,” Fertility and Sterility, 39(3): 337-342, pp. 340-341 (1983). অ্যানাল সেক্স যে অপকারী সে সম্পর্কে নামকরা সেক্সোলজিস্ট আভা ক্যাডেল বলেছেন - Unprotected oral sex carries less risk for the transmission of STD’s than unprotected intercourse or anal sex does অ্যানাল সেক্স, সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজের জন্য অন্য পন্থার সেক্স অপেক্ষা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ । সূত্রঃ Click This Link Having sexual intercourse, oral sex and anal sex are the top cheating activities অর্থাৎ, অ্যানাল সেক্স নেতিবাচক। সূত্রঃ Click This Link Approximately 40 percent of heterosexual couples have tried anal sex at least once, so obviously it’s a highly erotic and gratifying experience, but it’s also a high-risk activity for HIV and other STDs, so please use protection সূত্রঃ Click This Link অ্যানাল সেক্সের কারণে নিম্নলিখিত রোগের প্রাদুর্ভাব সমকামীদের মধ্যে অত্যন্ত বেশি – ১) এইচআইভি এইডস ২) সিফিলিস ৩) গনোরিয়া ৪) হার্পিস সিমপ্লেক্স ৫) ভাইরাল হেপাটাইটিস টাইপ বি ও সি ৬) ক্ল্যামিডিয়া ইনফেকশন ৭) অ্যানাল ক্যান্সার ৮) ক্রিপ্টোস্পোরিডিওসিস ৯) আইসোস্পোরিয়াসিস ১০) মাইক্রোস্পোরিডিওসিস ১১) জিয়ার্ডিয়া ল্যাম্বলিয়া ডিজিজ ১২) স্কিন ও অ্যানো-জেনিটাল ওয়ার্ট ১৩) হেপাটাইটিস এ ১৪) এন্টামিবা হিস্টোলাইটিকাজাত এমিবিয়াসিস ১৫) শিগেলোসিস ১৬) সালমোনেলোসিস ১৭) পেডিকুলোসিস ১৮) স্ক্যাবিস ১৯) ইনফেকশাস মনোনিউক্লিওসিস ২০) ক্যাম্পাইলোব্যাক্টেরিওসিস ২১) মেনিনজাইটিস ও মেনিঞ্জোকক্কেমিয়া ২২) হুক ওর্ম । উল্লেখ্য, ৭-২২ নং রোগগুলি বিষমকামী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে খুবই বিরল । ১-৬ নং রোগগুলো সমকামী ও বিষমকামী উভয় ব্যক্তিদের হলেও সমকামী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই সকল রোগের হার অনেক বেশি । উদাহরণস্বরূপঃ In 1999, King County, Washington (Seattle), reported that 85 percent of syphilis cases were among self-identified homosexual practitioners আমেরিকার সিয়াটল প্রদেশের কিং কান্ট্রিতে ৮৫% সিফিলিস আক্রান্ত ব্যক্তি সমকামী যৌনসম্পর্কে লিপ্ত । Syphilis among homosexual men is now at epidemic levels in San Francisco এছাড়া অন্যান্য রোগের মধ্যে রয়েছে – ক) হেমোরয়েড (পাইলস) খ) অ্যানাল ফিশার গ) অ্যানোরেকটাল ট্রমা ঘ) রিটেইন্ড ফরেইন বডিজ ইত্যাদি যেগুলো অন্যতম রিস্ক ফ্যাক্টর অ্যানাল যৌনসংসর্গ। সূত্রঃ Anal Health for Men and Women,” LGBTHealthChannel, http://www.gayhealthchannel.com/analhealth/ J. E. Barone, et al., “Management of Foreign Bodies and Trauma of the Rectum,” Surgery, Gynecology and Obstetrics, 156(4): 453-457 (April 1983). ওরাল-অ্যানাল যৌনসম্পর্ক সমকামীদের এই ধরনের যৌনসম্পর্কের সাথে অজস্র প্যারাসাইটিক এবং আন্ত্রিক রোগ বিজড়িত। গে-বাওয়েল সিনড্রোম এমন একটি রোগ যা অবাধ অ্যানাল যৌনসংসর্গ/ এনিলিংগাস বা পায়ুপথ ও নিতম্ব চোষণ ও লেহন (রিমিং/রিম-জব) / ফেলাশিও বা লিঙ্গচোষণের (ব্লোজব) মাধ্যমে সংক্রমিত হয় এবং সমকামীদের মধ্যে এই সিনড্রোম অত্যাধিক বেশি বলেই এর নাম বিশেষভাবে গে-বাওয়েল সিনড্রোম রাখা হয়েছে । সূত্রঃ Henry Kazal, et al., “The gay bowel syndrome: Clinicopathologic correlation in 260 cases,” Annals of Clinical and Laboratory Science, 6(2): 184-192 (1976). Glen E. Hastings and Richard Weber, “Use of the term ‘Gay Bowel Syndrome,’” reply to a letter to the editor, American Family Physician, 49(3): 582 (1994). Ibid.; E. K. Markell, et al., “Intestinal Parasitic Infections in Homosexual Men at a San Francisco Health Fair,” Western Journal of Medicine, 139(2): 177-178 (August, 1983). নিউইয়র্কে ১৯৯১ সালের হেপাটাইটিস এ প্রাদুর্ভাবের সময় সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশনের% জরীপে দেখা যায়, ৭৮% হেপাটাইটিস এ আক্রান্ত ব্যক্তি হয় সমকামী নয়তো উভকামী । সূত্রঃ “Hepatitis A among Homosexual Men—United States, Canada, and Australia,” Morbidity and Mortality Weekly Report, CDC, 41(09): 155, 161-164 (March 06, 1992). সালমোনেলা মূলত যৌনবাহিত রোগ নয়, তবে যৌনসংশ্লিষ্ট সালমোনেলার প্রধান কারন ওরাল-অ্যানাল এবং ওরাল –জেনিটাল সমকামী যৌনসম্পর্ক । সূত্রঃ C. M. Thorpe and G. T. Keutsch, “Enteric bacterial pathogens: Shigella, Salmonella, Campylobacter,” in K. K. Holmes, P. A. Mardh, et al., (Eds.), Sexually Transmitted Diseases (3rd edition), p. 549, New York: McGraw-Hill Health Professionals Division, 1999. টাইফয়েড মূলত পানিবাহিত রোগ হলেও এর যৌনসংশ্লিষ্ট প্রকারটির অন্যতম মূল কারণ সমকামিতা । সূত্রঃ Click This Link "

সমকামীদের মধ্যে ধূমপান ও মদ্যপানের হার সাধারণ জনগোষ্ঠী থেকে অত্যন্ত বেশি বলে ফুসফুস এবং যকৃতের ক্যান্সার হওয়ার হারও বেশি। অ্যানাল সেক্সে মলাশয়গাত্রে অতি সহজেই ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে এবং অ্যানাল রুট হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের জন্য একটি সহজপ্রবেশ্য রুট বলে অ্যানাল ক্যান্সারের হার সমকামীদের মধ্যে অত্যন্ত বেশি। নার্সিং ক্লিনিক অব নর্থ আমেরিকার জার্নালের জুন, ২০০৪ রিপোর্টে দেখা যায় – এইডস আক্রান্ত ৯০% সমকামী ব্যক্তিদের দেহে এবং এইডস ব্যতীত ৬৫% সমকামী ব্যক্তিদের দেহে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস রয়েছে যার মধ্যে এইচপিভি টাইপ ১৬ ক্যান্সারের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ প্রকরণ।

সমকামীদের মধ্যে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসজাত অ্যানাল ক্যান্সারের ঝুঁকি বিষমকামীদের তুলনায় ১০ গুণ বেশি। এইডস আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অ্যানাল ক্যান্সার হওয়ার ক্ষেত্রে সমকামীদের মধ্যে এই ঝুঁকি বিষমকামীদের তুলনায় ২০ গুণ বেশি ।

সূত্রঃ

Mads Melbye, Charles Rabkin, et al., “Changing patterns of anal cancer incidence in the United States, 1940-1989,” American Journal of Epidemiology, 139: 772-780, p. 779, Table 2 (1994).

James Goedert, et al., for the AIDS-Cancer Match Study Group, “Spectrum of AIDS-associated malignant disorders,”


তবে এর ক্ষতিকর বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা রয়েছে ... বিজ্ঞানসম্মত ধর্মীয় ব্যাখ্যাও আছে।

কোরান থেকে হজরত লুতের সময়কার জনগোষ্ঠী ধবংসের সাথে সাথে অন্য একটি সুরা নিসার ১৬ নং আয়াতে পাওয়া যায় -

তোমাদের মধ্য থেকে যে দু’জন সেই কুকর্মে লিপ্ত হয়, তাদেরকে শাস্তি প্রদান কর । অতঃপর যদি উভয়ে তওবা করে এবং নিজেদের সংশোধন করে, তবে তাদের থেকে হাত গুটিয়ে নাও । নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, দয়ালু ।

অর্থাৎ, সমকামীদের প্রশ্নে ধবংসের কথা দাবী করছে অর্থাৎ তাদের কঠিন শাস্তির কথা বলছে..

Posted by
Abraham Lingkon

More

সমকামী(১৮+)

সারা পৃথিবীতে যখন সমকামীদের নিয়ে প্রচন্ড আলোড়ন- উন্নত বিশ্বর কোন কোন দেশে যখন সমকামীদের বৈবাহিক বৈধতা দেয়া হচ্ছে- ঠিক সে সময়টাতেও কিন্তু রাশিয়াতে সমকামীদের প্রচন্ড ঘৃনা করা হত!
দুজন পুরুষ বা দুজন নারী এমনকি তারা যদি আপন ভাই কিংবা বোনও হয়-এক বিছানায় পাশাপাশি ঘুমোলে তাদেরকেও সন্দেহের চোখে দেখত।
আমি দেখেছি দুবোন কিংবা দুভাই যদি একান্ত বাধ্য হত পাশাপাশি শুতে তাহলে একজন মাথা দিত উত্তরে একজন দক্ষিনে! প্রথমে বুঝিনি এমনতর শোয়ার গুঢ় রহস্য।
পরে এক রুশভাই আমাকে ব্যাখ্যা করে দিলে আমি বাকহারা হয়েছিলাম বেশ কিছুক্ষন।
আরো আশ্চর্যের কথা রুশ রমনীরা পারতপক্ষে মর্দ্দা কুকুর পোষেনা আর পুরুষরা তার উল্টেটা!
ওখানে যখন দুজন পুরুষ বা নারী পাশাপাশি হাত ধরে হাটলেও অনেকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে আড়চোখে তাকায়-তখনো কিন্তু আমরা বাঙ্গালীরা উদাসীন। দুজনের বিছানায় ছজন লেপ্টালেপ্টি করে ঘুমাই । বন্ধুকে কদিন পরে দেখলেই আবেগের অতিশয্যে বুকে জড়িয়ে ধরি , আড্ডায় রাত জেগে কেউ ক্লান্ত হয়ে পড়লে পাশে বসা বন্ধুর ঘাড়ের উপর মাথা রেখে বিশ্রাম নেই।
এসব দেখে ওরা চোখ বড় বড় করে ভাবে এরা কি গন সমকামী?
কেউ একজন মুখ ফুটে বলে ফেললই একদিন ‘ তোমরা কি..? ’ শুনে আমরা হাসতে হাসতে মরি!
কোন একদিন ছিল সমগ্র রাশিয়ায় পতিতালয় নেই বলে তারা গর্ব করত । কিন্তু এখন সেই দিন আর নেই । এখন এরা বড় বেশী সহজলভ্য হয়ে গেছে।
১৯৯৬ সাল মাত্র চারপাচ বছর আগে যেখানে রুশরা আমাদের বঙ্গের ( হকার্স মার্কেট)কেনা সস্তা জিনস দেখে ভিমড়ি খেত এখন তারাই ব্যাবহার করছে বিশ্ব বিখ্যাত ফ্যাশন হাউজের পোষাক। যা দেখে আমরা এখন ভিমড়ি খাই!
বড় বড় কাচে ঘেরা জাকজমকপূর্ন এসব কোম্পানীর শোরুম দেখে সদ্য গ্রাম কিংবা মফস্বল তেকে আসা মেয়েরা ফ্যাল ফ্যাল করে এখনো চেয়ে থাকে । ভিতরে সাজানো এককটা পোষাক তাদের সপ্নে পাওয়া অর্থের থেকেও মুল্যবান।
ভয়ে হাত দিয়ে ধরে দেখতে সাহস হয়না। কিন্তু সেই মেয়েটাই যখন দুদিন পরে তেমন একট পোষাক পরে আপনার নাকের ডগা দিয়ে পুরের সুবাস ছড়িয়ে গ্যাট গ্যাট করে হেটে যাবে তখন নিশ্চই দিনের বেলা খোলা চোখে সপ্ন দেখছেন ভেবে ডাক্তারের কাছে ছুটবেন ।
এটা কি সম্ভব ? হ্যা সম্ভব! তবে কিভাবে। ওই পোষাকটা সেই মেয়েটার হয়তোবা একরাতের কামাই। আর ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই আশা করি।
কাল রবিবার। ছুটির দিন। শীতের রাত। আটটাতেই রাস্তাঘাট ফাঁকা তবে পাব বার ডিসকো থেক আর ক্যাসিনোতে উপচে পরা লোকের ভীড়। রাত দশটার দিকে আমরা চার বন্ধু মিলে যাচ্ছিলাম অন্য এক বন্ধুর বাসায় সারারাত আড্ডা দেবার অভিপ্রায়। জাকির গাড়ি চালাচ্ছিল। ঐতিহাসিক রেড স্কোয়ারের পাশ দিয়ে একটু এগিয়ে যেতেই পিছনের সিটে আমার সাথে বসা সুদর্শন ও বাগ্মী নিঝুম জাকিরকে একটু গাড়ি স্লো করতে বলল। জাকির ঘাড় ঘুড়িয়ে হেসে বলর ‘কি ব্যাপার নিঝুম তোমার ধান্দা কি।’ তার চাহনী রহস্যজনক।
কিন্তু মেলা দিন পরে এই শহরে আসা গেঁয়ো আমি বুঝতে পারলামনা এই কথা ও চাহনীর তাৎপর্য!
নিঝুম চোখ মেরে বলল,‘ রাস্তার পাশ ঘেষে চালান। একটু ফাজলামী করি।’ ব্যাপারটা কি আমি উৎসুক চোখে তাকালাম রাস্তার পাশে আধো আলো অন্ধকারে প্রথমে ভাল করে বোঝা যায়নি ভাল করে লক্ষ করতেই বোঝা গেল বিশাল চওড়া কালচে পাথরের ফুটপাথ ঘেষে থাকা প্রতিটা ল্যাস্প পোস্ট গুলোর আড়ালে দাড়িয়ে আছে কোন নারী বা পুরুষ । কাড়িটা ফুটপাথ ঘেয়ে একটু স্লো হতেই ওদের কয়েকজন আড়াল ছেড়ে বেরিয়ে এল ।
‘ওই মহিলার কাছে যান।’ একটু দুরে দাড়ানো এক মহিলাকে উদ্দেশ্য করে নিঝুম জাকিরকে বলল ।
জাকির নির্দিস্ট স্থানে গাড়ি থামাতেই সেই ভদ্র মহিলা চারিদিকে ভাল করে নজর বুলিয়ে এগিয়ে এল । নিজুম ততক্ষনে পিছনের কাচ নামিয়ে ফেলেছে।
মহিলা কাছে এসে মাথাটা ঝুকিয়ে চাপা কন্ঠে বলল ‘, শুভসন্ধ্যা ভদ্রগন। আপনাদের কি প্রয়োজন?’
‘কি তোমার কাছে আছে?’ নিঝুমের সিরিযাস কন্ঠ শুনে আমি চমকে গেলাম।
মহিলা একটু চুপ থেকে বলল ,’ যা চাও ।যেরকম চাও সবই আছে।’
‘কি কেমন আছে একটু ব্যাখ্যা কর?’
‘বারো থেকে শুরু করে বাহান্ন সবই আছে । লম্বা খাটো শুটকি মুটকি এমনকি সেরা অভিজাত বংশের রুশ সুন্দরীকেও পাবে।তবে খরচটা একটু বেশী।’
নিঝুম মাথা নেড়ে বলল,‘ না চলবে না । আর কি আছে?’
মহিলা পিছনের একটা বাসার দিকে ইঙিত দিয়ে বললেন ‘আমার সাথে নেমে গিয়ে ওই বাসাটাতে চল ওখানে সবই আছে তুমি দেখে পছন্দ করে নিও।’
‘উহু ,তোমার ওখানে তো সব যুবতী আর নারী নাকি?’
‘হ্যা । অবশ্যই ।’ মহিলা দৃঢ় কন্ঠে বলল ।
’কিন্তু আমাদের যে দরকার অন্যকিছু ।’
‘কি দরকার?’ মহিলার কন্ঠে বিস্ময় ।
নিঝুম তাকে ইশারায় আরেকটু কাছে আসতে বলল । সে দুপাশে ঘাড় ঘুড়িয়ে ভাল করে লক্ষ্য করে মাথাটা আরেকটু কাছে নিয়ে এল॥
নিঝুম চাপা কন্ঠে বলল ,‘ আমাদের দরকার দুটো ছেলে। আছে তোমার কাছে ?’
কথাটা মাটিতে পরার আগেই ‘ও বজ্বা মোই!(ও মাই গড) বলে চিৎকার করে মহিলা সভয়ে ছিটকে পিছিয়ে গেল অনেখখানি! আমরা ভিতরে বসা সবাই মিলে একসাথে হো হো করে হেসে উঠলাম। জাকির গাড়ি ছেড়ে দিল একটু এগিয়ে যেতেই পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি মহিলাটি হা হয়ে বিস্ফোরিত নেত্রে আমাদের গমন পথের দিকে চেয়ে আছে।
সন্দেহ নেই তার এই জীবনে এমন ঘটনার সন্মুখিন হয়নি।
তবে একটা ব্যাপার দিনের মত পরিস্কার হয়ে গেল যে এরা সমকামীদের এখনও যেথেস্ট ঘৃনা করে !

Posted by
Abraham Lingkon

More

চীনে ১৬ মিলিয়ন মহিলা সমকামী পুরুষকে বিয়ে করে

কুইনদাও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ঝ্যাং বেই-চুয়ান সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন, চীনের প্রায় ১৬ মিলিয়ন মহিলা গে পুরুষকে বিয়ে করে। তার মতে চীনের মোট বিয়ের শতকরা তিন ভাগ এই ধরনের বিয়ে সংঘটিত হছে। ১৯৯৭ সালে চীনে সমকামিতাকে বৈধতা দেয়া হয়। ২০০১ সালে সমকামিতাকে মানসিক ব্যাধির তালিকাহতে বাদ দেয়া হয়। গে কমিনিউটির সদস্যদের সেখানে কোন বাধা দেয়া হয় না। কিন্তু অনেকেই বাধা দেয়ার চেষ্টা করে।

বাই-চুয়ান বলেন, গে দের অনেকেই সামাজিক প্রত্যাশায় বিয়ে করে। কিন্তু সেটা বউ এর জন্য সেটা কখনোই সুখকর হয় না। ২৯ বছর বয়স্ক জিয়াও ইয়াও, যার বিয়ে হয়ছে একজন সমকামী পুরুষের সাথে। সে তার মত মহিলা যারা একই পরিস্থিতির শিকার হয়েছে তাদের জন্য একটা ওয়েবসাইট খুলেছেন। “অধিকাংশ গে পুরুষের বউয়েরা নিরবে স্বামীদের কাছে বঞ্চনার স্বীকার হয়। যারা কখনোই বউদেরকে ভালবাসে না। আমার মত অনেকেই স্বামীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয় এবং প্রচুর চাপের ভিতর থাকে।আমাদের ওয়েব সাইট তাদের মানসিক ভাবে তাদের শক্তি যোগাবে যে তারা একা নয় এবং তাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহস যোগাবে।”

গে কমিউনিটির কেউ কেউ এই রিসার্চের রেজাল্ট নিয়ে বিতর্ক করছে। এইচ আইভি/এইডস প্রতিরোধের সাথে যুক্ত জিয়াও ডন একজন গে। তিনি এই রেজাল্ট কে চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন এটা আসলে একটি বানোয়াট এবং পয়েন্টলে, ভিত্তিহীন প্রচারণা। কিছু লোকের উপর যৌন চাহিদা নিয়ে গবেষণা করে তা সমগ্র চীনের মানুষের উপর হিসেব করা কখনোই বৈধ হতে পারেনা।

বাংলাদেশে গে'রা সাধারনত ধর্মীয় ও সামাজিক চাপে বিয়ে করতে বাধ্য হয়। বাংলাদেশের সেই সব মেয়েদের লাঞ্চণার খবর কি আমরা রেখেছি?

Posted by
Abraham Lingkon

More

বৃটিশ সমকামী ডিপ্পনের সাথে ৫ বছরের সমকামী সম্পর্কে বাংলাদেশী সুমন: সামনে ঈদ, পুলিশের চুলকানী - কোতোয়ালি থানায় মামলা

সিলেটের যুবক সুমন ও জাকিরের সঙ্গে হোটেল কক্ষে সমকামিতায় লিপ্ত ছিল বৃটিশ নাগরিক এ্যালেন হাওয়ান ডিপ্পন। এই খবর আসে সিলেটের কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে। পুলিশের একটি দল তাৎক্ষণিক অভিযান চালায় হোটেল কক্ষে। তারা গিয়ে হোটেলের একটি কক্ষে তিনজনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় বৃটিশ নাগরিক ডিপ্পনের সমকামিতার অভিযোগে বাংলাদেশের যুবক সুমন ও জাকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার নগরীর আম্বরখানাস্থ হোটেল বৃটানিয়ার ৫তলার ৫০৫ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। আটক বৃটিশ নাগরিক এ্যালেন হাওয়ান ডিপ্পন যুক্তরাজ্যের লুসন বিডিএসএলইউ ৩২ এনএলের মার্সা রোড ১৪৪নং বাসার বাসিন্দা। তার সাথে আটক বাংলাদেশী কিশোর সুমন (২০) সুনামগঞ্জের মধ্যনগর গ্রামের মালিক আহমদের ছেলে। সে নগরীর পাঠানটুলার সফিক মিয়ার বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতো। জাকিরের বাড়িও একই এলাকায়।

আটকের পর বৃটিশ নাগরিক ডিপ্পনকে আটকের পর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কোতোয়ালি থানায় গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন বলে জানা গেছে। অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা সিলেটের কোতোয়ালি থানার এসআই রবিউল ইসলাম মাসুম জানান, আটককৃত বৃটিশ নাগরিক এ নিয়ে ৮/১০ বার বাংলাদেশে এসেছেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়। তার পাসপোর্ট নম্বর-৫৪০১৪৩৮৫০। বাংলাদেশে অবস্থানকালে তিনি প্রতিবার সুমনকে খুঁজে নিয়ে আসতেন। আর সুমন তাকে ৫ বছর যাবৎ সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছে। এভাবে আরও বেশ কয়েকটি ছেলের সাথে সমকামিতায় জড়ানোর কথাও পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন ডিপ্পন।

এ বছরের প্রথম দিকে নগরীর ধোপাদিঘীরপারস্থ হোটেল মেট্রো থেকে একই অভিযোগে আটক করা হয়েছিল বৃটিশ নাগরিক পিটার এ্যালিসনকে। ওই সময় তার সঙ্গে একই কক্ষ থেকে সুমানগঞ্জের এক কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছিল। এ ঘটনায় এস আই রবিউল হক মাসুম বাদী হয়ে দণ্ডবিধি ৩৭৭ ধারায় এ্যালন হাওয়ার্ডের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৩৭। কোতোয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই নারায়ণ দত্তকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বিদেশী নাগরিক হওয়ায় অতিরিক্ত সতর্কতার সঙ্গে ডিপ্পনকে কোতোয়ালি থানায় বার বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা কোতোয়ালি থানার সাব ইন্সপেক্টর নারায়ণ জানিয়েছেন, আটকের পর ডিপ্পন নিজেও ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক বর্ণনা দিয়েছে। এবং সুমন ও জাকিরের সঙ্গে তার সমকামিতা রয়েছে বলে জানিয়েছে সে।

Posted by
Abraham Lingkon

More

সমকামী বিয়ে বৈধতা পেলো নিউ ইয়র্কে

যুক্তরাষ্ট্রের ষষ্ট অঙ্গরাজ্য হিসেবে সমকামীদের মধ্যে বিয়ের বৈধতা দিলো নিউ ইয়র্ক।
গভর্নর অ্যান্ড্রু সিউমো শুক্রবার এ সংক্রান্ত একটি বিলে সই করেন। এদিন নিউ ইয়র্ক সিনেটে ৩৩-২৯ ভোটে বিলটি পাশ হয়।
২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ও কংগ্রেস নির্বাচনের আগে সমকামীদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজয় হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
গভর্নর অ্যান্ড্রু সিউমো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "এ ভোট সারা দেশে একটি বার্তা ছড়িয়ে দেবে। এটাই এগিয়ে যাওয়ার পথ, এটা এখনই করার সময় এবং এটা অর্জন সম্ভব। এটা এখন আর স্বপ্ন বা আকাঙ্খার বিষয় নয়। আমি মনে করি, আপনারা একটি সামাজিক বিকাশ দেখতে পাচ্ছেন।"
"সামাজিক ন্যায় বিচারের একটি নতুন পর্যায়ে পৌঁছালাম আমরা।"

এ আইনটি আগামী ৩০ দিনের মধ্যে কার্যকর হবে। তখন নিউ ইয়র্কে সমকামীরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন। এছাড়া আইনে সমকামী যুগলদের তালাকের বৈধতাও থাকছে।

সমকামী বিয়ে বৈধতা পাওয়ায় অঙ্গরাজ্যের রাজধানী অ্যালবানির সিনেট গ্যালারি এবং নিউ ইয়র্কের স্টোনওয়াল ইনের বাইরে সমবেতরা উল্লাস মেতে ওঠে। এ স্টোনওয়াল ইনে ১৯৬৯ সালে সমকামীদের অধিকারের দাবিতে আন্দোলনরতদের ওপর হামলা চালায় পুলিশ।
এদিন এখানে কয়েকশ' মানুষ সমবেত হয়ে তাদের আন্দোলনের সফলতা উদযাপন করে। সেখানে উপস্থিত ৩৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থী ক্যারোলিন জিগার বলেন, "এখন সময় এসেছে। আমি বিয়ে করতে চাই। অন্য সবাই যেসব অধিকার ভোগ করে সেগুলো আমিও চাই।"
সমকামী বিয়ের বৈধতাকে স্বাগত জানিয়ে নিউ ইয়র্ক শহরের মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ বলেন, সমতা ও ব্যক্তি স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এটা একটা ঐতিহাসিক বিজয়।
তবে এতে গভীর হতাশা ব্যক্ত করেন নিউ ইয়র্কের ক্যাথলিক বিশপরা।

Posted by
Abraham Lingkon

More

সমকামী-২ (১৮+)

নিকেতন থেকে বের হয়ে মুল রাস্তায় আসলাম ট্যাক্সি কিংবা অটোরিক্সার খোজে। সন্ধ্যে সাতটা বাজেনি তখনো। কর্পোরেট অফিসগুলোতে ছুটি হচ্ছে-এখন ভাড়ায় গাড়ি পাওয়া বেশ কষ্টের। ট্যাক্সি চালকেরা তাদের প্রিয় গন্তব্যে পছন্দের যাত্রীকে নিয় ইচ্ছেমত ভাড়া হাকাতে ব্যাস্ত। দুয়েকটা খালি গাড়ি আসলেই ছুটো যাচ্ছে কয়েকজন-আর মওকা বুঝে চালকেরা ভাব নিচ্ছে। দুয়েকজন হা না বললেও বেশীরভাগই হয় মাথা ঝাকাচ্ছে নয়তো কিছু না বলেই আরো জোরে গাড়ি ছুটিয়ে চলে যাচ্ছে।ঢাকার রাস্তায় এই ট্যাক্সি চালকের দৌরাত্মে নিজেকে বেশ অসহায় মনে হয়।গাড়ি কেনাটা আর তখন বিলাসিতা মনে হয়না-সবচে জরুরি বিষয় বলেই ভাবতে ইচ্ছে করে।মৌলিক চাহিদা অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের সাথে গাড়িটাকে জুড়ে দিতে ইচ্ছে করে।
পাশের ব্যাংক থেকে এক রমণী অভদ্রের মত আমাকে টপকে সামনে গিয়ে উল্টোমুখে দাড়িয়ে মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে বা হাতে আইডি কার্ডের ফিতেটা ঘুরিয়ে যেভাবে ঠ্যাং নাচাচ্ছিল তা দেখে মেজাজ বিগড়ে গেল।আমিও ইচ্ছে করলে তার সামনে গিয়ে দাড়াতে পারি কিন্তু সংস্কারে বাধে।
নাহ্ এখানে এভাবে দাড়িয়ে থাকার কোন মানে হয়না।হাতে যখন সময় আছে এর থেকে রিক্সায় গুলশান একনম্বর গিয়ে বাসে করে যাই।সময় থাকলে এমনিতেই অনেক সময় বাসে চড়ি-সেখানে প্রতিমুহুর্তেই নতুন নতুন কাহিনীর জন্ম হয়-শুধু চোখ মেলে বসে কান পেতে শুনলেই হল।
অফিস ছুটির সময় তাই স্বভাবতই এখন বাসে আরো বেশী ভীড়।সৌভাগ্যবশত সিট পেয়ে গেলাম। তিন সিটের দুপাশে দুজন বসে ছিল -মাঝেরটা খালি। বাম পাশের যাত্রীটা হাটু সরিয়ে আমাকে ভিতরে যাবার পথ করে দিলেন। দুজন যাত্রীর মাঝখানে বসাটা আমার বেশ অপছন্দের। একটু বিষন্ন মনে বললাম- ভাই মাঝখানেই পাঠালেন?
লোকটা বেশ ভাল, অমায়িক হেসে বললেন, কেন আপনি সাইডে বসতে চাচ্ছেন?সমস্যা নেই,বসেস-বসেন। বলে তিনি সরে গেলেন।
কি ভুল করলাম পরমুহুর্তেই বুঝলাম। পরের স্টপেজে হুড়মুড় করে বেশ কিছু যাত্রী উঠল। আমার পাশে এসে দাড়াল হাতে পোর্টফোলিও নিয়ে মার্জিত পোষাক পরা একহারা গড়নের লম্বা ফর্সা এক তরুন।বাসে তখনো গাদাগাদি ভীড় নেই পিছনে ফাকায় দাড়ানোর সুযোগ পেয়েও সে কেন দরজার কাছে আমার পাশেই এসে দাড়ালো বুঝলামনা।
বাস ফের চলতে শুরু করল। আমি নিমগ্ন হলাম আমার ধ্যানে।
খানিক বাদে একটু অস্বস্তি! ছেলেটা খুব বেশী ঘেষে আছে আমার বাহুর সাথে।বাসের ঝাকুনি ঢিমে তালে হলেও এস বেশ জোরে জোরে দুলছে। প্রথমে পাত্তা দেইনি ডান দিকে একটু চেপে বসলাম।
পরের স্টপেজে আরো কিছু যাত্রী উঠল।এবার বাস ভরে গেছে-ছেলেটা কিন্তু কোথাও না সরে সেখানেই দাড়িয়ে রইল ঠায়। আবার চলতি বাসে তার ঘষাঘষিতে মালুম হল মামু অন্য কিসিমের!ডাইনে বায়ে সরলাম এদিক ওদিক ঘুরলাম কিন্তু সে তার লক্ষ্যে অনড়। এবার আবার নিজের ভুল ভেবে নিজের মধ্য ডুব দেবার চেষ্টা করলাম। ভেবে ওখানে এক রমনীই দাড়িয়ে আছে-কল্পনায় না হয় একটু আদিম সুখই অনুভব করলাম। কিন্তু না সপ্নের শুরুতেই হোচট খেলাম!কঠিন পুরুষাঙ্গের ঘর্ষন নারীর কোমলতার সাথে যে বড্ড বেমানান। মনে হল উঠে দাড়িয়ে জোরে এক থাপ্পর মারি-শালা বিতলামীর আর জায়গা পাওনা।উমহু ব্যাপারটা শোভন হবেনা-ফের সংস্কারের বাধা!
ঘাড় ঘুরিয়ে ছেলেটার দিকে তাকালাম ভাল করে। ফর্সা র্সুদর্শন লো পাওয়ার্ড চশমা তাকে বেশ ইনোসেন্ট লাগছে।সবকিছু ভুলে বাইরে কিছু একটা আতিপাতি করে এমন ভাবে খুজছে যে নিন্মাঙ্গের কোন বার্তাই তার মগজে গিয়ে পৌছায়নি। দুটো মাথা দুই ভাবনায় ব্যাস্ত।তার উদ্দেশ্যে কয়েক ডজন গালি জিভের অগ্রভাগে এসে কিলবিল করল শুধু।

আপনি কি জানেন কত শত পুরুষ শিশু কিশোর পুরুষদের দ্বারা ধর্ষিত হয় প্রতিবছর?

আমি ব্যাক্তিগত ভাবে সমকামিতাকে ঘৃনা করি কিন্তু সমকামীকে নয়(অনেকটা পাপকে ঘৃনা কর পাপীকে নয়-এর মত),কেননা তারা কোনমতেই বিপরিদ লিঙ্গের প্রতি আকর্ষন অনুভব করেনা।এটাতো স্বীকৃত যে সমকামীতা একধরনের অসুস্থতা-প্রকৃতির এই নিষ্ঠুর খেলার কাছে তারা অসহায়!অতএব তাদের ঘৃনা করাটা বোধ হয় ঠিকনা।।
কিন্তু সারা বিশ্বেই অন্য এক ধরনের সমকামী বা উভকামীর দেখা মিলবে। এদের কোন বাছ বিচার নেই। বিপরিদ লিঙ্গের কাউকে না পেলে এরা সমলিঙ্গের সাথেও দৈহিক মিলনে লিপ্ত হতে দ্বীধা করেনা। নিজের রিপুকে দমন করার জন্য এরা যে কোন পন্থা অবলম্বন করে।আমাদের দেশের মত ধর্মীয় কারনে বা সামাজিক ভাবে রক্ষনশীল দেশেই এদের আধিক্য। অবশ্য সবখানেই একঘেয়েমীতা বা রুচি পরিবর্তনের জন্য কিছু মানুষ সমকামীতায় আগ্রহী হয়।
অল্প চেনা অতিচেনা কিংবা অচেনা কোন সবল পুরুষের কাছে একই বিছানায় যখন আমরা একটা কিশোরকে আমরা ঘুমোতে পাঠাই নিশ্চন্তে তখন কি একবারও ভাবি-কি ভয়াবহ একটা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে সেই একটা রাতে?সেই কিশোরটি কাউকে বলতে পারেনা-হয়তো কেউ বিশ্বাস করবে না ভেবে।কি নিদারুন ভয়ঙ্কর লজ্জা অপমান গ্লানীতে নীল হয়ে সে মুষড়ে থাকে-সারাটাজীবনই হয়তো সে মনের একান্ত গহীনে সে কষ্টটাকে বয়ে বেড়ায়।

ঠিক তেমনি একটি ভয়ঙ্কর ধর্ষনের ঘটনার বর্ণনা করছি আমার এক অতি ঘনিষ্ঠ বন্ধুর নিজের জবানীতে;
তখন বয়স ১১/১২ হবে।নারীদের প্রতি অল্প বিস্তর আকর্ষন বোধ করি, রুপ দেখে বিমোহিত হই, কল্পনায় সপ্ন গিজগিজ করে রুপকথার আদলে। সন্তান উৎপাদনের পুরোপুরি প্রক্রিয়া থকনো জানা হয়নি।যৌন বিষয়ক কথাবার্তা বহুবার পিউরিফাইড হয়ে কানে আসে।
ভাবতাম যৌন সম্ভোগ শুধু খারাপ লোকেরাই করে।আমার পরিবার,পরিবেশ আর আশেপাশের কালচার এইভাবেই আমাদের শিখিয়েছিল।নিরাভরন নারিদেহ দেখার দুর্নিবার আকাঙ্খা থাকলেও সেইটে ছিল শুধু নিষিদ্ধ কোন কিছু চোখ দিয়ে স্পর্শের আকাঙ্খায়।
ইন্টারনেট টিভির দৌরাত্ম আর খোলামেলা ছবির আগ্রাসনতো তখনো শুরু হয়নি-তাই এই প্রজন্মের থেকে অনেকখানি পিছিয়ে ছিলাম তখন।
সমকামী ব্যাপারটা তখন ধারনার মধ্যেই ছিলনা।একসাথে গাদাগাদি লেপ্টালেপ্টি করে শত শত পুরুষ নারী শুয়ে থাকলেই কি-নির্জলা বন্ধুত্ব কিংবা আত্মিক সম্পর্ক ছাড়া তাদের মধ্যে অন্য কোন সম্পর্ক থাকতে পারে সেইটে কল্পনা থেকে বহু লক্ষ্য যোজন দুরে ছিল।
সেই পুচকে বয়সে আমার দুই বোন আমাকে বডিগার্ড হিসেবে নিয়ে গেল বেড়াতে আমাদের দুরসম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাড়িতে।সম্পর্ক দুরের হলেও তাদের আন্তরিকতাও আতিথিয়েতা ছিল দারুন।জোড়াজুড়িতে সেই রাতে সেখানে থেকে যেতে বাধ্য হলাম সবাই।মেয়েদর থাকার জায়গার ব্যাবস্থা হলেও আমাকে নিয়ে পড়ল ফ্যাসাদে!তখন না বড় না ছোটর দলে।
অবশেষে আমার জায়গা হল তাদেরই ভাড়া দেয়া এক মেস বাড়িতে।মাঝারি একটা রুমে তিনখানা খাট। তিনজন বোর্ডার মাত্র। জায়গা হল তন্মধ্যে বেশ বড় একখান খাটে সজ্জন এক বোর্ডারের সাথে।
তখনো হাফ প্যান্ট পরি। গায়ের জামাখানা খুলে রেখে বিছানায় শরির এলিয়ে দিলাম।
এরকম পরিবেশ আমার জন্য একদম নতুন -অপরিচিত কারো সাথে ঘুমাইনি কখনো, তাই প্রথমে একটু অস্বস্তি লাগলেও জার্নি আর হুটোপাটার ধকলে ক্লান্ত আমি ঘুমিয়ে পরলাম পরক্ষনেই।
গভীর রাত; ঘুম ভেঙ্গে গেল-দম আটকানো অস্বস্তি কর একটা চাপ অনুভব করছিলাম।
ঘুম ঘোরে ভেবছিলাম সপ্ন দেখছি-পরমুহুর্তেই ফিরে এলাম বাস্তবে।ভীষন আতংকিত হয়ে লক্ষ্য করলাম আমার পাশে শুয়ে থাকা সবল রোমশ পুরুষটা আমাকে জোরে চেপে ধরে তার উত্তিথ পুরুষাঙ্গ দিয়ে আমার দুপায়ের ফাকে জোরে জোরে ঘষছে। সারা দেহ থরথর করে কেপে উঠল আমার ভীষন ভয় পেয়ে গেলাম।তবুও মনে ভীষন সাহস সঞ্চয় করে ঝাড়া দিয়ে উটে বসে আতংকিত কন্ঠে বললাম- এসব কি করছেন?
লোকটা আচমকা আমার কাছ থেকে এমন প্রতিরোধ আশা করেনি- সেও ধড়মড় করে উঠে বসে-কাপা কাপা কন্ঠে এক্কেবারে কিস্যু জানেনা এমন ভঙ্গীতে বলল,কেন কি করেছি?
-আমি আরো জোড়ে চেঁচিয়ে উঠলাম, মানে আপনে জানেননা কি করেছেন? আমি সবাইকে বলে দেব।
তখুনি সে আমার মুখ চাপা দিয়ে হিস হিস করে উঠল, খবরদার কাউকে বলবা না তাইলে খুন করে ফেলব।‘
পাছে ঘুমিয়ে পড়লে সে আমাকে মেরে ফেলে সেই ভয়ে আতংকে সারারাত আমি ঠায় বসে ছিলাম সেখানটায়। ভোরের দিকে হয়ত একটু তন্দ্রার মত এসেছিল-ফের চোখ মেলে চাইতেই দেখি বিছানা ছেড়ে পালিয়েছে সে- সকালের মিষ্টি রোদের আলো ভরে আছে সারা ঘর।
ভোরের আলোর স্পর্শে হয়ত আমি ভয় মুক্ত হয়েছিলাম-তবু সেই রাতের স্মৃতি আমাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়িয়েছে আরো বহু বছর।

Posted by
Abraham Lingkon

More

এক বছরে সমকামী পুরুষ ও সমকামী নারীদের মধ্যে ৭০০ টি বিয়ে হয়েছে৷

মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটি কর্তৃপক্ষ জানালেন, ২০১০ সালের ৪ মার্চ থেকে এক বছরে সমকামী পুরুষ ও সমকামী নারীদের মধ্যে ৭০০ টি বিয়ে হয়েছে৷ এগুলোর মধ্যে পুরুষ সঙ্গীর সাথে বিয়ে হয়েছে ৩৬৭ জন গে'র এবং নারী সঙ্গীর সাথে বিয়ে হয়েছে ৩৩৩ জন লেসবিয়ানের৷ এসব সমকামী যুগলের মধ্যে ৭৩ শতাংশই বিদেশি বলে জানিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ৷ বাকিরা অবশ্য মেক্সিকোর নাগরিক৷

সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, সমলিঙ্গের সঙ্গীর সাথে বিয়ের পিঁড়িতে বসা এসব নারী-পুরুষের নয়জনের বয়স ৭১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে৷ মেক্সিকোর কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য সমকামীদের বিয়ে সংক্রান্ত এই আইনের বিরুদ্ধে লড়ছে৷ তবে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের রায় গেছে মেক্সিকো সিটির পক্ষেই৷ ফলে বিশ্বের অন্যান্য দেশে সমকামী সঙ্গীকে বিয়ে করতে অপারগ নারী-পুরুষও এসে ভিড় জমাচ্ছে এই নগরীতে তাদের স্বপ্ন পূরণে৷

এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী সিডনিতে আজ রাতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম সমকামী উৎসবগুলোর অন্যতম ‘গে অ্যান্ড লেসবিয়ান মার্ডি গ্রা'৷ ৩৪তম বার্ষিক এই আসরে সাড়ে আট হাজার সমকামী নারী পুরুষ অংশগ্রহণ করছে বলে জানা গেছে৷ সমকামীদের এই বিশাল উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন হলিউড তারকা লিলি টমলিন৷ 

Posted by
Abraham Lingkon

More

সিডনীতে বাঙালী সমকামী

সারা বিশ্বে সমকামীতা যেভাবে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে তা সমাজবিদ্যায় একটা খুব ইন্টারেস্টিং বিষয়। কিন্তু আমার কথা তা নয়। আমরা বাঙালীরা সাধারণত এসব বিষয় একটু এড়িয়ে চলি। কিন্তু খুবই আশ্চর্য হলেও সত্য যে সিডনীতে অনেক সমকামী বাঙালী বসবাস করেন। আরও মজার ব্যপারটা হচ্ছে এমন দুজন বাঙালীর খবর এদেশের পত্রপত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে যে তারা অষ্ট্রেলিয়ায় থাকার জন্য নিজেদের সমকামী হিসাবে কোর্টে হাজির করেছেন। তারা এ বলে মাননীয় কোর্টকে বুঝালেন যে তারা যদি বাংলাদেশে গিয়ে তাদের সমকামী সম্পর্ক বজায় রাখেন তাইলে তাদের জীবন নাশের সম্ভাবনা আছে। তাই তারা অষ্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে থাকতে চান। যেমন চাওয়া তেমন পাওয়া। এই দুজন স্থায়ীভাবে অষ্ট্রেলিয়া থাকার অনুমতি পেয়ে গেলেন।

আপনারা তাদের এই কর্মকে কিভাবে দেখছেন ? এটাকি সুকর্ম !!! না কুকর্ম ???

http://www.mnalamfarid.com

Posted by
Abraham Lingkon

More

সমকামিতার সপক্ষে কিছু যুক্তি...এর বিপক্ষে আপনাদের যুক্তিগুলো জানতে আগ্রহী

আমেরিকায় কিছুদিন আগে সাইক্লোন আইরিন হানা দিয়েছিল; যেটা ছিল ইস্ট কোস্টের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ সাইক্লোন। এর জাস্ট কয়েকদিন আগেই ওয়াশিংটন, ভার্জিনিয়া, ম্যারিল্যন্ড তথা ইস্ট কোস্ট এলাকায় ভূমিকম্প হয়েছিল যা নাকি গত ১০০ বছরের ইতিহাসে প্র্রথম। এসব দেখে এক আমেরিকানকে বলতে শুনেছি, সাম্প্রতিক আমেরিকায় আইন করে সমকামিতাকে বৈধতা দেয়ার কারণেই নাকি ঈশ্বর শাস্তির আলামত দেখাচ্ছেন। ঈদের নামাজের সময় এখানকার ইমাম সাহেবও একই কথা বলছিলেন।

আমি জনস্বাস্থ্য বিষয়ে পিএইচডি করছি। আমাদের ডিসিপ্লিনে এ বিষয়ে অনেক কথাবার্তা হয়। ধর্মীয়, সামাজিক, পারিবারিক ও সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলের কারণে সমকামিতা ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে গ্রহণযোগ্য না হলেও এ সংক্রান্ত আলোচনায় পড়াশুনার খাতিরে অংশগ্রহণ করতে হয়েছে। সেখানে সমকামিতার পক্ষে যে যুক্তিগুলো তুলে ধরা হয়েছে তা হল:

১. তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় কোন সোসাইটিতেই সমকামিতা একটা সামান্য % জনগোষ্ঠির মধ্যে দেখা যায়না। কাজেই এর জন্য মানব বংশ বিলুপ্ত হবার কোন সম্ভাবনা নেই।

২. সুস্থতা, অসুস্থতা (বিশেষ করে মানসিক) এসবের সূক্ষ্ম মাত্রা আমরাই নির্ধারণ করি। সমকামিতাকে অসুস্থতা বলা হবে কিনা এটা যতটা না বায়োলজিকাল ইস্যু তার চেয়ে বেশি পলিসি তথা নীতিগত সিদ্ধান্তের ইস্যু। এটাকে যদি সুস্থতা ধরে নিই তাহলে তো কিছুই বলার নেই। আর অসুস্থতা ধরে নিলে তার চিকিৎসা প্রয়োজন; শাস্তি নয়।

৩. মানবাধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে কারো সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন নিয়ে নাক গলানো গ্রহণযোগ্য নয়; যতক্ষণ না তা অন্যের অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ করছে।

৪. সমকামিদের বেশ কিছু অসুখ বেশি হয় বলে দেখা গিয়েছে; যেমন এইডস। সমকামিদের স্টিগমাটাইজ করলে মানুষ এসব রোগ পুষে রাখবে; চিকিৎসা নিতে সঙ্কুচিত হবে। এতে সমাজে রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

আরো যুক্তি আছে যা এই মুহূর্তে মনে পড়ছেনা। এটা ভাবার কোন কারণ নেই যে এগুলো আমার যুক্তি; বা আমি এগুলোকে সমর্থন করছি। লিখলাম আপনাদের যুক্তিগুলো জানার জন্য। কারণ উপরের যুক্তিগুলো শুনে একজন একাডেমিক মানুষ হিসেবে একধরণের দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে গিয়েছি।

আপনাদের যুক্তিগুলো জানলে আমার কিছু লাভ হতে পারে। এটা নিয়ে সরগরম আলোচনা জমিয়ে তোলা যাবে। তাই পরিশীলিত এবং মার্জিত ভাবে আপনাদের যুক্তিগুলো (বিপক্ষে; বা পক্ষেও হতে পারে) তুলে ধরলে বাধিত হব।
ধন্যবাদ।

Posted by
Abraham Lingkon

More

Categories

Powered By Blogger
abrahamalingkon

Social Icons

Popular Posts

Followers

Featured Posts

asbl. Blogger দ্বারা পরিচালিত.

Copyright © / আসুন আমরা ইভটিজিং বন্ধ করি ।

Template by : Urang-kurai / powered by :ahb