ডেসটিনি ধর্ম গ্রহন করিয়া স্বর্গপ্রাপ্তি নিশ্চিত করুন.....

চারিদিকে হাজারো সমস্যা। পুরা দুনিয়াই যেন সমস্যায় ভরা। আর আমাদের দেশখানা যেন সমস্যার কারখানা। সমস্যা হইতে মুক্তি পাইবার জন্য আমরা কত পন্থা যে বাহির করিয়াছি। কিন্তু কোন সমাধান হইতেছে না। এতে করিয়া দেশবাসী চরম হতাশায় নিমজ্জিত হইয়া পড়িয়াছে। সকলের মনে একটাই আকুতি এই সমস্যার কী কোন সমাধান নাই! অথচ দশ বৎসর পূর্বেই শান্তি ও সমৃ্দ্ধির সুবাতাস লইয়া এক ধর্ম প্রবর্তিত হইয়াছে। নাম তাহার ডেসটিনি ২০০০ লি:। এই দেশেতে যত সমস্যা আছে তার এক নিমিষে সমাধান করিয়া দেশবাসীকে স্বর্গসম সুখ প্রদান করাই যাহার উদ্দেশ্য।

তাই আর দেরি না করিয়া এই ধর্ম সম্পর্কে জানুন এবং উহার উপর ঈমান আনুন।


ইতিহাস:প্রবর্তক মহতী রফীকুল আমীন (র.আ.)বিদেশে ভ্রমন করিতেছিলেন। উন্নত দেশের মানুষের জীবনযাত্রা দেখিয়া তাহার মধ্যে গভীর বেদনার সৃষ্টি হইল। অভাগা দেশবাসীর কষ্টের কথা মনে করিয়া তিনি ব্যাপক দু:খিত হইয়া পড়িলেন। এই কষ্ট হইতে তাহাদের মু্ক্তি দিবার কী উপায় তাহা ভাবিতে লাগিলেন। কিন্তু কোন উপায় না দেখিয়া তাহার মধ্যে ব্যাপক হতাশার সৃষ্টি হইল। হতাশ মনে তিনি ব্যকুল হইয়া কাদিতেছিলেন। হঠাৎ গায়েবী আওয়াজ আসিল," যাহারা অপরকে ভালবাসে তাহারা যেন আমার প্রদর্শিত পথ অনুসরন করিয়া চলে।"
হঠাৎ এই গায়েবী আওয়াজ শুনিয়া তিনি কিন্ঞিত ভীত হইলেন। গায়েবী কন্ঠ তাহাকে উদ্দেশ্য করিয়া বলিতে লাগিল, " হে বৎস তোমার মনের ব্যাকুলতা আমি অনুধাবন করিতে পারিয়াছি। পরের দু:খে তোমার হৃদয় কাতর হইয়া পড়িয়াছে। কিন্তু চিন্তা করিও না,সকল সমস্যার সমাধান একমাত্র আমার কাছেই রহিয়াছে।"
মহাত্বা রফিকুল আমীন (র. আ.)কাঁদো কাঁদো স্বরে সুধাইলেন," কী সেই সমাধান? আপনিই বা কে?
গায়েবী কন্ঠ জবাব দিল," ধীরে বৎস ধীরে, আমি তোমার সাথেই রহিয়াছি, তুমি মনযোগ দিয়া খেয়াল করিলেই আমাকে পাইবে।
এতক্ষনে তাহার বোধ হইল গায়েবী কন্ঠের আওয়াজ তাহার পকেট হইতে আসিতেছে। ভয়ে ভয়ে তিনি পকেটের ভেতর হস্ত ঢুকাইলেন। উহাতে কিছু মুদ্রা ছিল, গলার আওয়াজ সেইখান হইতেই আসিতেছিল। তিনি অবাক দৃষ্টিতে তাকাইতেই আবার কথা শুরু হইল," এক্ষনে তুমি আমাকে চিনিতে পারিয়াছ। লোকেরা আমাকে চিনেনা বলিয়াই নানা ধর্ম বা প্রভুর কাছে আশ্রয় খোজে কিন্তু কোন সমাধান পায়না, প্রকৃতপক্ষে আমিই জগতের প্রভু, তাই যে আমাকে একবার চিনিয়াছে তাহার আর কোন চিন্তা নাই। আমিই তোমাকে মু্ক্তির পথ বাতলাইয়া দিব।"
"কী সেই পথ?" মহামতী ব্যাকুল স্বরে সুধাইলেন।
"বৎস এই পথ খুবই কঠিন, নানান বাধা আসিবে, আমি ভয় পাইতেছি তোমাকে বহুত কষ্ট স্বীকার করিতে হইবে।"
মহামতী কাঁদিয়া কহিলেন," জনগনের কল্যানে যত কষ্টই করিতে হয় আমি প্রস্তুত।"
"হে বৎস তুমি পরীক্ষায় উর্তীন্ন হইয়াছ, অতএব মানুষের মু্ক্তির এ লৌহ কঠিন দায়িত্ব তোমার হস্তে অর্পন করিতেছি।" এই বলিয়া প্রভু মহাত্বা (র. আ.) কে সেই পথ বাতলাইয়া দিলেন। অত:পর মহাত্বন (র. আ.) অতি আনন্দচিত্তে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করিয়া তাহার মতো মহানুভব, পরদু:খকাতর কতিপয় সঙ্গী লইয়া ২০০০খ্রীষ্টাব্দে (প্রথম ডেসটিনি বর্ষ) ডেসটিনি ধর্ম প্রতিষ্ঠার কাজে নিমগ্ন হইলেন।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
১. নাম : ডেসটিনি;
২. প্রভু : অর্থ, মুদ্রা, টাকা, ডলার;
৩. প্রবর্তক : রফিকুল আমীন (র. আ.);
৪. প্রবর্তন কাল : ২০০০ খ্রীষ্টাব্দ (প্রথম ডেসটিনি বর্ষ);
৫. তীর্থস্থান : বিজয়নগর;
৬. কিয়ামত কাল : ২০১১ খ্রীষ্টাব্দ (দ্বাদস ডেসটিনি বর্ষ);


মূল কথা: পূর্বেই বলিয়াছি আসল প্রভু হইল অর্থ। তাই সবসময় তাহাকেই খুজিতে হইবে তাহার প্রদর্শিত পথে। আর সেই পথ হইল ডেসটিনি। তাই প্রথমেই ডেসটিনির প্রতি ঈমান আনিতে হইবে। এর জন্য আপনাকে সামান্য অর্থ ব্যয় করিতে হইবে। এই অর্থ মহাত্বা (র. আ.) অথবা তাহার অনুসারীগনের কাউকে তুলিয়া দিলেই সে সরাসরি স্বর্গের ছাড়পত্র পাইয়া যাইবে। এবং সেই সাথে পাইবে একখানি স্বর্গীয় পণ্য যেমন, নাইজেলা তৈল,পদ মালিশকারক, ভিডিওকন পন্য ইত্যাদি। অথবা কেহ চাহিলে স্বর্গীয় উদ্যানে বৃক্ষের মালিকানাও গ্রহন করিতে পারিবে। কাজ কিন্তু এইখানেই শেষ নয়। নিজে ঈমান আনিলেন অথচ আপনার চারিপাশে কত অসংখ্য মানুষ অন্ধকারে হাতড়াইয়া বেড়াইতেছে তাহাদের প্রতি কী কোন দায়িত্ব পালন করিবেন না। অবশ্যই আপনার আত্বীয়-স্বজন, বন্ধু ,প্রতিবেশী প্রত্যেককেই ডেসটিনির পথে আমন্ত্রন জানানো আপনার কর্তব্য। এই পরিশ্রমের ফল ও আপনি পাইবেন। যত লোককে ডেসটিনির পথে আনিতে পারিবেন ততই আপনার ঈমান বাড়িবে, আপনি স্বর্গের উচ্চ স্তরে আসীন হইতে পারিবেন।

বন্ধুগণ জীবনে কোন পথই বাধাহীন নয়। আর ডেসটিনি'র পথে বাধা তো পর্বত প্রতীম। প্রতিটি জায়গায় শয়তান ওত পাতিয়া রহিয়াছে। তাহারা আপনাকে নানান কটাক্ষ করিবে, অপরের কানে কুমন্ত্রনা দিয়া ডেসটিনি বিরোধী করিয়া তুলিতে চাহিবে। কিন্তু সেক্ষেত্রে ধৈর্য হারা হইলে চলিবে না। ওই শয়তান দিগকে মু্ক্তির পথে আনাই তো আপনার দায়িত্ব। তাই ধৈর্য ধারণ করিয়া তাহাদিগকে পথে আনিবার চেষ্টা করিতে হইবে। এইভাবে যতদিন না কেয়ামত সংঘটিত হয় ততদিন পর্যন্ত আপনাকে প্রচেষ্টা চালাইতে হইবে।
কিয়ামত: এইভাবে যখন বৎসর গড়াইয়া ২০১১ খ্রীষ্টাব্দের (দ্বাদস ডেসটিনি বর্ষ) শেষ প্রহর আসিয়া উপস্থিত হইবে তখনই এই দেশের বুকে কেয়ামত সংঘটিত হইবে। কেয়ামত সংঘটিত হইবার পর দেশবাসী দু'ভাগে বিভক্ত হইবে। এক দিকে থাকিবে ডেসটিনির উপর ঈমান আনয়নকারী ব্যাক্তিগণ। তাহারা স্বর্গীয় ভবনে (যা বর্তমানে নির্মীত হইতেছে) স্থান লাভ করিবে। তাহাদের জীবন হইবে আরামপ্রদ এবং সমৃদ্ধশালী। অপরদিকে থাকিবে অবিশ্বাসী ও যাহারা বিভিন্ন সময় ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করিয়া ঈমানদার বান্দাগণদের নাজেহাল করিত। তাহাদের বিপদের আর সীমা থাকিবে না। তাহারা রাস্তায় ক্রন্দন করিয়া মাথার চুল টানিয়া ছিড়িতে থাকিবে । কতিপয় দুষ্টু লোক তখন নতুন করিয়া ঈমান আনিয়া স্বর্গে প্রবেশ করিবার চেষ্টা করিবে। কিন্তু তাহাদের মুখের উপর দ্বার বন্ধ করিয়া দেওয়া হইবে। ফলে উহারা এতোদিনের দুর্মতির কথা স্বরন করিয়া হায় হুতাশ করিতে থাকিবে। প্রত্যেক স্বর্গবাসীকে একখানি করিয়া পাজেরো নামক উন্নত স্বর্গীয় বাহন দেওয়া হইবে। উহা মনোরম ও দ্রুতগতি সম্পন্ন। উহাতে যখন স্বর্গবাসীগণ আরোহন করিবে তখন উহার গতির ফলে যে ধূলা উর্গত হইবে তাহাতে পাপীগণ সম্পূর্ন ঢাকা পড়িয়া যাইবে। এইভাবে বিভিন্ন প্রকারে পাপীগণ তাহাদের পাপের শাস্তি ভোগ করিতে থাকিবে।

কতিপয় দৈবিক বানী:
১. যাহার অন্তর ও মস্তক নাইজেলা তৈলে পূর্ণ সেই স্বর্গের অধিকারী হইবে;
২. যত বৃক্ষই রোপন কর না কেন জানিয়া রাখ ডেসটিনির বৃক্ষই গ্রহনযোগ্য;
৩. ভিডিওকন টেলিভিষন দর্শন করিলে চোখের জোতি বাড়ে;


অতএব হে ব্লগার ভ্রাতা-ভগিনীগণ, নিজেকে একবার প্রশ্ন করিয়া দেখুন ডেসটিনি ধর্ম গ্রহন করিয়া স্বর্গবাসী হইবেন, নাকী অবিশ্বাসী থাকিয়া জীবনের চরম দুর্গতিতে পড়িবেন।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Categories

Powered By Blogger
abrahamalingkon

Social Icons

Popular Posts

Followers

Featured Posts

asbl. Blogger দ্বারা পরিচালিত.

Copyright © / আসুন আমরা ইভটিজিং বন্ধ করি ।

Template by : Urang-kurai / powered by :ahb